দেশের ইতিহাস আসলে কংগ্রেসের ইতিহাস, পূর্বস্থলী দক্ষিণে বোঝাচ্ছেন অভিজিৎ

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সান্নিধ্যে থাকা কংগ্রেস নেতা চম্পক গড়াই তাঁর রাজনৈতিক গুরু। ২০০২ সালে কলেজে পড়াকালীন রাজনীতির সঙ্গে যোগ। ২০২১ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি অভিজিৎ ভট্টাচার্য। প্রচারের ফাঁকে কথা বললেন TheBengalstory এর সঙ্গে।

বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে কমার্স গ্র্যাজুয়েট। কলেজেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। গ্র্যাজুয়েশনের পর বিবিএ, এমবিএ। পরে এলএলবি করেন।

কংগ্রেসেই কেন?

কংগ্রেসের ইতিহাস আছে। ভারতবর্ষের ইতিহাসই কংগ্রেসের ইতিহাস। আমি যদি আমাদের বর্ধমান জেলার কথা বলি, দুর্গাপুর শিল্পনগরী, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সবই তো ডক্টর বিধানচন্দ্র রায় তৈরী করেছিলেন। কংগ্রেস ছাড়া এরকম সমৃদ্ধ ইতিহাস কোন দলের আছে? বললেন, কংগ্রেস প্রার্থী।

২০১০ থেকে ২০১৮ দীর্ঘ আট বছর জেলার যুব কংগ্রেস সভাপতি। ২০১৮ সালে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি।

২০১৬ সালে পূর্বস্থলী দক্ষিণ থেকে ভোটে লড়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। পাঁচ বছর পর পুনরায় একই কেন্দ্রে লড়ছেন। জয় নিয়ে কতটা আশাবাদী?

বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রার্থীর জবাব, দেখুন তৃণমূল দলটা পুরোটাই দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে, পাঁচ বছরে আমার কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা দেখে মানুষ এবার বিকল্প বেছে নেবে।

মাঝে ২০১৯ এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপির উত্থান হয়েছে। লোকসভায় বর্ধমান পূর্বে কংগ্রেসের ভোট ছিল ২ শতাংশ, সিপিএম ১২%। সেখানে তৃণমূল ৪৪%, বিজেপি ৩৮%। আপনারা তো অনেকটাই পিছিয়ে। লোকসভা আর বিধানসভার রাজনৈতিক সমীকরণ সম্পূর্ণ আলাদা। বিজেপির জনবিরোধী নীতি আর তৃণমূলের দুর্নীতি এই দুটোর বিরুদ্ধে মানুষ এবার সিদ্ধান্ত নেবেন। আমার কেন্দ্রে এখনও কোথাও কোথাও মানুষকে যাতায়াতের জন্য ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পেরোতে হয়, ভাবতে পারছেন! এই ১০ বছরে পূর্বস্থলী দক্ষিণের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে।

এই যে উন্নয়ন হয়নি বলছেন, এই দায় তো আপনাদের জোটসঙ্গী সিপিএমের উপরও বর্তায়। সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব বলছে বাংলার মানুষ কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল তিনটে দলকেই সুযোগ দিয়েছে। সেদিক থেকে তাঁরা নতুন।

প্রশ্ন শুনে কিছুটা উষ্মা ৩৯ বছরের কংগ্রেস প্রার্থীর গলায়। নতুন আবার কী? খারাপ হলেও নতুন বলে কোনও কিছুকে ব্যবহার করতে হবে নাকি? বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে তাঁর তীব্র আক্রমণ, আজকে একটা দল দেশের সংবিধান পাল্টে ফেলতে চাইছে, তাঁরা বাংলায় নতুন বলে তাঁদের ভোট দিতে হবে!

দেখুন ১০০ দিনের কাজ থেকে ইন্দিরা আবাস যোজনা, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৫৬ টি প্রকল্প ইউপিএ সরকার করেছিল। বিজেপি শুধু নাম পরিবর্তনে ব্যস্ত। ইন্দিরা আবাস যোজনার নাম পাল্টে করে দিল পিএম আবাস যোজনা।

অভিজিৎ জানালেন, বিধায়ক হলে সবার প্রথম তাঁর কেন্দ্রের তাঁত শিল্পী এবং পাট চাষিদের জন্য একটি আর্থিক প্যাকেজ বরাদ্দ করবেন।

অবসর সময় আইনের বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে পছন্দ করেন। সংযুক্ত মোর্চার ফলাফল নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, দেখুন তৃণমূল বিজেপিকে রাজ্য থেকে উৎখাত করতে যেভাবে উদ্দ্যম নিয়ে লেগেছি, ২ মে’র পর নিশ্চিত আমরাই সরকার গড়ব।

Comments are closed.