সংকটে থাকা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলার উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে আরবিআই। সেই সঙ্গে ইয়েস ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে স্টেট ব্যাঙ্কের ঘাড়ে তুলে দেওয়া হয়েছে ৪৯ শতাংশ শেয়ার। বুধবার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়েস ব্যাঙ্কের সংকট নিয়ে মুখ খোলেন অর্থনীতিবিদ রঘুনাম রাজন। তাঁর কথায়, ইয়েস ব্যাঙ্ক যে সমস্যায় জর্জরিত তা একাধিকবার তারা নোটিস দিয়ে জানিয়েছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত আরবিআই-র গভর্নরের পদে থাকা রঘুরাম বলেন, অনেক সময় ছিল একসঙ্গে মিলে এই সমস্যা মোকাবিলা করার। আমি আগেও বহুবার বলেছি, আবারও বলছি, দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরকে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা বিশেষ প্রয়োজন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কার্যকরী রাস্তায় তা করতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) -এর প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদের কথায়, সংস্কারের অনিচ্ছা দীর্ঘতর হয়ে আছে এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে তা দিন দিন অসুস্থ করছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই সংস্কার দরকার। না হলে এনবিএফসি, প্রাইভেট ব্যাঙ্ক এমনকী দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মধ্যেও আস্থার অভাব দেখা দেবে। যার ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি যথাযথ হবে না। তিনি আরও জানান, যত দ্রুত সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যালান্স শিট প্রস্তুত করা, সঠিক পরিচালনার নীতি নির্ধারণ করা ও ব্যাঙ্কগুলির রিক্যাপিটালাইজিং করা দরকার। আরবিআই-র প্রাক্তন গভর্নরের কথায়, এটাই আমরা ২০১৫ সালে শুরু করেছিলাম, আর এখন ২০২০ সাল। পাঁচ বছর এর জন্য অনেক দীর্ঘ সময়।
আরবিআই-র পলিসি রেট নিয়ে রাজনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যদি আমানতেরই বৃদ্ধি না হয় তাহলে সুদের হার যতই কমানো হোক তাতে আখেরে কোনও লাভ হবে না। তাঁর কথায়, যতদিন না অর্থনৈতিক সেক্টরের সমস্যা সমাধান হবে, ততদিন সুদের হার কমিয়ে লাভ নেই, এ ঠিক ফুটো পাইপের মধ্যে দিয়ে জল সরবরাহ করার উদ্যোগের সমান।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ফের কবে ৬-৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে এই প্রশ্নের উত্তরেও রঘুরাম রাজন জানান, যেদিন সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সেদিন আর্থিক বৃদ্ধি সম্ভব হবে।