অযোধ্যায় ভূমিপুজো করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, বললেন ভাঙা-গড়ার খেলা থেকে আজ রামজন্মভূমি মুক্ত হল

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, আজ মুক্ত হল রামজন্মভূমি। সরযূ নদীর তীরে স্বর্ণযুগের সূচনা হল। রাম মন্দিরের শিলান্যাস করে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর কথায়, ভারতকে স্বাধীন করার স্বপ্নে যেমন বহু মানুষ বলিদান দিয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন, আন্দোলন করেছেন, ঠিক তেমনই রাম মন্দির গড়ার একনিষ্ঠ সংকল্পের পিছনে রয়েছে ত্যাগ, আন্দোলন, অর্পণ ও তর্পণ। মোদী বলেন, রাম মন্দির গড়ার কাজে যেমন সংঘর্ষ হয়েছে তেমনই আছে সংকল্প। সেই বলিদান, ত্যাগের প্রতীক রাম মন্দির।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে সারা দেশ যোগ দিয়েছিল। তেমনই রাম মন্দিরের জন্য বহু মানুষ বলিদান দিয়েছেন। আজ তাঁদের সবার প্রতীক্ষার অবসান হল। মোদীর কথায়, ১৫ অগাস্ট যেমন ভারতের স্বাধীনতা দিবস, তেমনই আজকের দিনটি ত্যাগ, সঙ্কল্প ও সংঘর্ষের প্রতীক হিসেবে মনে রাখবে দেশবাসী। শুধু ভারতেই নয়, গোটা পৃথিবীতে আজ রামের জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আজ সারা দেশ রামময় ও রোমাঞ্চিত। রাম মন্দির তৈরি হলে আমূল পরিবর্তন ঘটবে অযোধ্যার অর্থনীতির। সারা পৃথিবীর মানুষ তীর্থ করতে আসবেন। তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে ভাঙা-গড়ার খেলায় আটকে ছিল রাম মন্দির। আজ তা থেকে রাম মন্দিরের মুক্তি হল। সরযূ নদীর তীরে সূচনা হল স্বর্ণযুগের।

রুপোর ইট গেঁথে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো এবং কাজ শুরুর প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। করোনা পরিস্থিতির জন্য আমন্ত্রিতদের তালিকা কমিয়ে আনা হয়েছিল। ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং পালনের ক্ষেত্রেও তৎপরতা চোখে পড়েছে। আগাগোড়া মাস্ক পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

রাম মন্দির পালনের প্রতিশ্রুতির কথা প্রতিবার ইশতেহারে উল্লেখ করত বিজেপি। আজ সেই রাম মন্দির গড়ার কাজের শুভারম্ভ হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। গোটা অনুষ্ঠান বাড়িতে বসে টিভিতে দেখলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশীরা।

Comments are closed.