জেলের অত্যাচারেই ক্যান্সার হয়েছিল ‘জাতীয়তাবাদী’ প্রজ্ঞা সিংহের, বিস্ফোরণে অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রামদেবের

এবার ভোপাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের সমর্থনে এগিয়ে এলেন রামদেব। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে ‘জাতীয়তাবাদী’ আখ্যা দিয়ে রামদেব জানালেন, নয় বছর ধরে জেলে অত্যাচারের ফলে ক্যানসারের মতো দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত তিনি। আর তাঁর এই মন্তব্যে ফের বিতর্ক শুরু।
শুক্রবার বিজেপি প্রার্থী রবিশঙ্কর প্রসাদের সমর্থনে বিহারের পাটনা সাহিব কেন্দ্রে যান রামদেব। সেখানে প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রামদেব। তাঁর প্রশ্ন, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে একজনকে ৯ বছর ধরে জেলে আটকে রেখে অত্যাচার করা নৃশংসতা ছাড়া আর কি? পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন এটিএস প্রধান হেমন্ত কারকারে সম্বন্ধে প্রজ্ঞা সিংহের করা বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রামদেব জানান, প্রজ্ঞার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। সবার বোঝা উচিত, কী কঠোর পরীক্ষা ও তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ওই মহিলাকে।
ক’দিন আগেই গোমূত্র খেয়ে তাঁর স্তন ক্যান্সার সেরেছে বলে দাবি করে বিতর্ক বাধিয়েছিলেন প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। মুম্বইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রজ্ঞা সিংহের এই দাবি উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেছিলেন, তাঁর কখনও ক্যান্সারই হয়নি। পাশাপাশি জেলে তাঁর উপর আমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। মানবাধিকার কমিশন, সেই দাবিও ভুয়ো বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রামদেব বলে বসলেন, জেলে অত্যাচারের কারণেই নাকি ক্যান্সার হয়েছিল প্রজ্ঞা সিংহের। যা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু।

মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ভোপাল থেকে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। নতুন নতুন বিতর্কিত মন্তব্য করে, তাতে নিত্য ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থী নিজেই। আর তা নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে বিজেপিকে।

প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর নির্দোষ। পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। এমনটাই দাবি করে আসছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ রামদেব সরাসরি প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের সমর্থনে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন।

Comments are closed.