একাধিকবার গ্রেফতারি এড়ানোর পর অবশেষে হার মানলেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ভাইপো রাতুল পুরি। ৩৫৪ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় রাতুল পুরিকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। ইলেকট্রনিক্স সংস্থা মোসার বায়ারের প্রাক্তন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ছিলেন রাতুল পুরি। কমপ্যাক্ট ডিস্ক, ডিভিডি সহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডেটা স্টোরেজ তৈরির কাজ করত মোসার বেয়ার। গত বছরে বন্ধ হয়ে যায় সংস্থাটি।
রাতুল পুরির বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২০০৯ থেকে একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সেই অর্থের অপব্যবহার করেছেন তিনি। রাতুল পুরি ও ওই সংস্থার আরও ৪ ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি করে ব্যাঙ্ক থেকে ৩৫৪ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে চলতি মাসেই একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে রাতুল পুরির। তাতে যেমন কর জালিয়াতির মতো বিষয় আছে, তেমনই ইউপিএ জমানার অগস্ত-ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারিতেও মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর নাম উঠে এসেছে। ২০০৭ সালে ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য ১২ টি হেলিকপ্টার কেনার ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে রাতুল পুরির বিরুদ্ধে। অগস্ত-ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডে সোমবারই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। সেখানে উঠে আসে এই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলার বিষয়টিও।
সোমবার দিল্লির এক আদালতে ইডি জানায়, চপার কেলেঙ্কারিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তদন্ত এড়িয়ে চলছিলেন রাতুল পুরি। অন্যদিকে, আদালতে রাতুল পুরি জানান, চপার কেলেঙ্কারির তদন্তে সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত। জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন জানান তিনি। অন্যদিকে, ২৬ জুলাই, ইডির তদন্ত চলাকালীন শৌচালয়ে যাওয়ার পর ৪৭ বছরের এই ব্যবসায়ী আর ফেরেননি বলে অভিযোগ। এর একদিন পর আদালতে গিয়ে গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষার আর্জি জানিয়েছিলেন রাতুল পুরি। কিন্তু গত ৬ অগস্ট তাঁর আগাম জামিন খারিজ করে দেয় ওই আদালত এবং জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিরুদ্ধে। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাতুল পুরি। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডি অফিসাররা।
Comments are closed.