এ বছর গরমে পুড়ছে কার্যত গোটা রাজ্য। তবে শুধু রাজ্য নয়, রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশ, দেশের সীমা পেরিয়ে বিশ্বেও একই পরিস্থিতি। তাপমাত্রার পারদ হুহু করে বাড়ছে। এবং আগামী পাঁচ বছরে গোটা বিশ্বে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। এমনই আশঙ্কার খবর দিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘ। ২০২৩ থেকে ২০২৭ রেকর্ড মাত্রায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মূলত গ্রীন হাউস গ্যাসের এফেক্ট এবং এলনিনোর প্রভাবেই তাপমাত্রার এই চোখ রাঙানি।
সম্প্রতি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সম্মেলনে এনিয়ে আলোচনা হয়। তাতে বলা হয়েছে, আবহাওয়াবিদরা প্রকৃতির খামখেয়ালি স্বভাবেরও যে একটি সীমা নির্ধারণ করেছেন, এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে সেই সীমাও লঙ্ঘিত হতে পারে। অবাহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, গোটা বিশ্বেই যদি তাপমাত্রা এভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তা নিঃসন্দেহে বিশ্ববাসীর জন্য গভীর দুশ্চিন্তার।
প্যারিসের ওই সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়েছে, গত এই কয়েক বছরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই তাপমাত্রা গড়ে ২ ডিগ্রি করে বেড়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ এই আট বছরেই বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ২ ডিগ্রি বেড়েছে। এবং আগামী দিনে তা আরও বাড়তে চলছে।
গ্রীন হাউসের প্রভাব তো ছিলই। তবে এর মধ্যেই আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে এল নিনো প্রভাব। কয়েকমাসের মধ্যেই এর দাপট আরও বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। চিলি, পেরু, দক্ষিণ আমেরিকা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলিতে এই এল নিনোর প্রভাব দেখা যায়। মহাসাগরের জল স্তরের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। আর যার ফলে উপকূল অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রাও একেবারে অনেকটা বেড়ে যায়। এমনটা হলে সমুদ্রের তলা থেকে ঠান্ডা জলও উপরে উঠে আসতে পারে না। আর এই এল নিনোর প্রভাবেই তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায় বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
Comments are closed.