মোদী সরকারের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থের পরিপন্থী, অভিযোগ সঙ্ঘের

মোদী সরকারের একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তে সায় দিচ্ছে না আরএসএস। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আরএসএসের শাখা সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ।
গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছেন, পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তা নিয়ে সংসদের ভিতরে বাইরে নিয়ে প্রতিবাদ করছেন বিরোধীরা। তাঁদের সুরে গলা মিলিয়ে এবার স্বদেশি জাগরণ মঞ্চও এই বিলগ্নিকরণের বিরোধিতায় নামল। তাদের মতে, মোদী সরকারের এই বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থ-বিরোধী। সংগঠনের অভিযোগ, এই বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে কিছু আমলার ‘ষড়যন্ত্র’। মুষ্টিমেয় বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই বিলগ্নিকরণ করছে মোদী সরকার। পাশাপাশি, এর মধ্যে দুর্নীতিও রয়েছে বলে অভিযোগ সঙ্ঘের শাখা সংগঠনের। তাদের দাবি, একদম কম দামে বেসরকারি সংস্থার হাতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা যেনতেন প্রকারে রদ করতে হবে।
স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের দাবি, কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের উদ্যোগে যে ১৬ টি দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তাদের বিরোধিতাতেই সেখান থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার মোদী সরকারের বিলগ্নিকরণের উদ্যোগের বিরোধিতায় কংগ্রেস, সিপিএম সহ বিরোধীদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে আরএসএসের সংগঠনটি। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের নেতা অশ্বিনী মহাজন বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন হঠকারী তেমনি দেশের স্বার্থের পরিপন্থী। মহাজনদের মতে, কেন্দ্র যদি বিপিসিএলের মতো লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অংশীদারিত্ব কমাতে চায়, তবে তা শেয়ার বাজারে খাটাক। মঞ্চের অভিযোগ, যখন কর আদায়ের লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না, তখন এককালীন টাকা জোগাড় করতে গিয়ে লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেচে দেওয়া মোটেই কাজের কথা নয়। তাদের আরও দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিয়ে নীতি আয়োগের রিপোর্ট খারিজ করা হোক। সব ‘নতুন’ আমলাকে দিয়ে নতুন রিপোর্ট করুক বিজেপি সরকার।

Comments are closed.