সোমবার ফের খুলছে সাবরিমালায় মন্দির, মহিলা সাংবাদিকদেরদের না পাঠানোর আবেদন হিন্দু সংগঠনগুলির

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়া সত্বেও কেরলের সাবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থান নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। এবার সরাসরি তাদের তরফে সাংবাধ্যমে আবেদন করা হল, সাবরিমালা মন্দিরের খবর কভার করতে যেন মহিলা সাংবাদিকদের পাঠানো না হয়।
বিশেষ পুজো উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় ফের খুলছে কেরলের সাবরিমালা মন্দির। মঙ্গলবার রাত ১০ টায় তা ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে। মনে করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে ফের মন্দিরে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন মহিলা প্রতিবাদী ও সমাজকর্মীরা। তার আগে রবিবার সাবরিমালা কর্মসমিতির তরফ থেকে এক বিবৃতি জারি করে, সেখানে মহিলা সাংবাদিকদের যেতে নিষেধ করা হল। এই সাবরিমালা কর্মসমিতি আসলে বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের যৌথ মঞ্চ বলে পরিচিত।
উল্লেখ্য, সাবরিমালা মন্দিরের পুজ্য দেবতা আয়াপ্পা। শত শত বছরের চলে আসা প্রথা অনুযায়ী, এই মন্দিরে মহিলাদের, বিশেষ করে ১০ থেকে ৫০ বছরের ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা বাতিল করার জন্য বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেলেন। তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত গত সেপ্টেম্বর মাসে নির্দেশ দেয়, সকল বয়সের মহিলাদের প্রবেশ করতে দিতে হবে ওই মন্দিরে।
এরপর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পুজো উপলক্ষ্যে পাঁচ দিনের জন্য খুলেছিল সাবরিমালা মন্দির। কিন্তু আদালতের রায় সত্ত্বেও মহিলাদের সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও ধড়পাকড়েও কোনও কাজ হয়নি। উল্টে অভিযোগ ওঠে, বেশ কয়েকজন মহিলা প্রতিবাদী ও সমাজকর্মী আদালতের নির্দেশের কপি হাতে মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে মন্দির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়, নিগ্রহ করা হয় তাঁদের। আক্রমণ মহিলা সাংবাদিক ও তাঁদের গাড়ির উপরও।
আগামী ১৭ নভেম্বর টানা তিন মাসের জন্য খুলবে মন্দিরের দরজা, ভক্তরা নিয়মিত তখন আয়াপ্পার দর্শণ করতে পারবেন। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে রেখেছে, সেসময় যদি জোর করে মহিলাদের সেখানে প্রবেশ করানোর চেষ্টা হয়, তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হবে।

Comments are closed.