সবরীমালায় মহিলা প্রবেশাধিকারই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, রিভিউ পিটিশন খতিয়ে দেখবে বৃহত্তর বেঞ্চ

সবরীমালায় মহিলা প্রবেশাধিকারে গত বছরের সেপ্টেম্বরের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশাধিকারের পুনর্বিবেচনার মামলাটি পাঠিয়ে দিল ৭ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে। তবে সুপ্রিম কোর্টের গত বছরের সেপ্টেম্বরের রায় অনুযায়ী মহিলা প্রবেশাধিকার অব্যাহত থাকলেও তার বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রায় মানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেরল সরকার।

কেরলের সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গতবছর ২৮  সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এই রায় নিয়ে উত্তাল হয় কেরল। বিজেপি-আরএসএস সহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সরাসরি সুপ্রিম-রায়ের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামে। কেরলজুড়ে শুরু হয় হিংসাত্মক কার্যকলাপ। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাস্তবায়নে অনড় অবস্থান নেয় কেরলের সিপিএম নেতৃত্বাধীন সরকার। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সাফ জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পালন করা তাঁর সাংবিধানিক কর্তব্য। কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, যে প্রথা পালনে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়, সুপ্রিম কোর্ট সেই প্রথার অবসানে পদক্ষেপ করতে পারে। প্রথমে কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের সাবরীমালা রায়কে স্বাগত জানালেও পরবর্তীতে মানুষের ভাবাবেগের কথা বলে রায়ের বিরোধিতা করে।

এরই মধ্যে বিন্দু এবং কনকদুর্গা নামে দুই মহিলা সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে পৌঁছে যান সবরীমালা মন্দিরে। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় কেরলে। বিন্দু এবং কনকদুর্গার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কেরলের সিপিএম সরকার।

সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মোট ৬৫ টি পিটিশন জমা পড়ে। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় এবছর ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বৃহস্পতিবার সেই পুনর্বিবেচনা মামলারই রায় দিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

Comments are closed.