‘কুম্ভ মেলা আর মন্দির করলে দেশ এগোবে না’, যোগী আদিত্যনাথকে তীব্র আক্রমণ প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সাবিত্রী ফুলের

দলের মন্দির রাজনীতির সমালোচনা করে এক মাস আগেই দল ছেড়েছিলেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ সাবিত্রী বাঈ ফুলে। এবার যোগী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন দলত্যাগী সাংসদ।
দেশে যখন তফশিলী জাতিগুলি বাঁচার জন্য লড়াই করছে, বেকারত্ব বাড়ছে রাজ্যে, তখন কুম্ভ মেলা আর মন্দিরের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে উত্তর প্রদেশ সরকার। ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারের সমালোচনা করলেন বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী সাবিত্রী বাঈ ফুলে।
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ এবং নেত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নিয়ে বলেন, কুম্ভ মেলা আর মন্দির তৈরি করে কোটি কোটি টাকা খরচ করলে দেশ এগোবে না। দেশের অগ্রগতির জন্য দরকার সঠিক আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন।
সাবিত্রী বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়, উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া জনজাতির জীবনধারা উন্নতিতে কোনও পদক্ষেপই করেনি উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার। শুধু মন্দির আর মেলাতে টাকা ছড়িয়ে হিন্দুদের মন কেনার চেষ্টা চলছে। তিনি দাবি করেছেন, কুম্ভ মেলায় কোটি কোটি টাকা খরচ করার চেয়ে রাজ্যে কর্মক্ষেত্র তৈরি করা অধিক প্রয়োজনীয়। প্রকৃত উন্নয়ন না করে, ধর্মের নাম করে মানুষকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কড়া সমালোচনা করে ফুলে বলেন, উত্তর প্রদেশে প্রশাসন বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছে। খবর কাগজে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, এক অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশের বাহারাইচ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন সাবিত্রী বাঈ ফুলে। কিন্তু মোদী সরকারের ‘মন্দির-রাজনীতি’কে সমর্থন করতে পারেননি তিনি। কেন্দ্র সরকার দেশের মধ্যে জাতি-ভেদের বীজ বপন করছে এই অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর দলত্যাগ করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী ও যোগীর বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন সাবিত্রী বাঈ ফুলে। কিছুদিন আগে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই জল্পনায় জল ঢেলে সাবত্রী বলেন, এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। মোদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে অখিলেশের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী।

Comments are closed.