সব্যসাচী মীরজাফর, চলে যাক দল ছেড়ে, সল্টলেকের মেয়রকে হুঁশিয়ারি ফিরহাদ হাকিমের 

“বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসে নিজেকে মীরজাফর বলে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী দত্ত, দলের পক্ষে তিনি অপরিহার্য নন”, সল্টলেকের মেয়র সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, দলে থেকে ক্রমাগত দল বিরোধী কাজ করে চলেছেন সব্যসাচী। তাঁর এই আচরণ আর মেনে নেওয়া যায় না। সব্যসাচী যা করছেন তাতে বারবার দল অস্বস্তিতে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন হাকিম। এর জন্য সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর কথায়, দু’নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না, যাওয়ার থাকলে চলে যাক সব্যসাচী দত্ত।
বেশ কিছুদিন ধরেই সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে একাধিক রিপোর্ট জমা পড়ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে, যার জেরে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সল্টলেকের মেয়রকে বাদ দিয়েই অন্য কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, একাধিক কাউন্সিলার জানান, সব্যসাচী দত্ত মেয়র থাকলে তাঁরা থাকবেন না। মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের এই বক্তব্য নেত্রীকে জানানো হয়। রবিবারই ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, আপাতত সল্টলেকের মেয়রের কাজ সামলাবেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। সব্যসাচী দত্তকে পুরসভায় যেতে বারণ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রবিবার রাতেই তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে নৈশভোজ করেন সব্যসাচী দত্ত। সব্যসাচীর এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর অভিযোগ, যে বিরোধীদের জন্য তৃণমূলের কর্মীরা মার খাচ্ছেন, সেই দলের নেতার সঙ্গে বসে নিজেকে ‘মীরজাফর’ বলে প্রমাণ করছেন সব্যসাচী দত্ত। ফিরহাদ হাকিম বলেন, বারবার তিনি নিজে সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে কথা বলেও ব্যর্থ হয়েছেন। বারবার দল বিরোধী কাজ করে শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন সল্টলেকের মেয়র। মনুষ্যত্ব থাকলে তাঁর অবিলম্বে দল ত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল মন্ত্রীর প্রশ্ন, কীসের জন্য অপেক্ষা করছেন সব্যসাচী দত্ত? সব্যসাচী দলের জন্য অপরিহার্য নন বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল মন্ত্রী।
সূত্রের খবর, সব্যসাচী দত্তকে অনাস্থা দেখিয়ে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সল্টলেকের মেয়রকে পদ থেকে। অন্যদিকে, সব্যসাচী দত্তর দাবি, এখনও পর্যন্ত তাঁকে কিছুই জানায়নি দল। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও সব্যসাচীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন দলের শীর্ষ নেতারা।

Comments are closed.