১৯৮৪ শিখ হত্যার ঘটনায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ সাজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন সাজা দিল দিল্লি আদলত

১৯৮৪ সালে শিখ হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ সাজ্জন কুমার। এক শিখ পরিবারের ৫ জনের হত্যার ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে সোমবার সাজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তাঁর শিখ দেহরক্ষী গুলি করে হত্যা করার পর ভারতজুড়ে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটতে থাকে। দিল্লিতে এই শিখ বিরোধী দাঙ্গা বিশাল আকার নিয়েছিল। জায়গায়-জায়গায় শুরু হয় শিখ-নিধন। দেশজুড়ে প্রায় ৩ হাজার শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যু হয় ওই দাঙ্গায়।
দিল্লির রাজনগরে একই শিখ পরিবারের ৫ জনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ সাজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এরপর দিল্লি আদালত আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সাজ্জন কুমারকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়।
৭৩ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা লড়ার জন্য জনৈক জগদীশ কৌরের সাহসের প্রশংসা করেছেন বিচারক। এর আগে সিবিআই সাজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক দাঙ্গা লাগানোর অভিযোগ করেছিল। এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ও বিভিন্ন প্রমাণের সাপেক্ষে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ শোনায় দিল্লি আদালত।
তিন রাজ্যে যখন বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে পুণরায় নিজেদের রাজনৈতিক মাটি শক্ত করছে কংগ্রেস, ঠিক তখনই প্রবীণ কংগ্রেস নেতার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা অস্বস্তি বাড়াল তাদের। পাশাপাশি, সাজ্জন কুমারই প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৮৪ সালের দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত হলেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যারা দাঙ্গা লাগায় তারা যাতে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে পালাতে না পারে তা দেখতে হবে। তা সে যতবড় ক্ষমতারই অধিকারী হোন না কেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট ১৯৮৪ সালের শিখ হত্যার অপরাধে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।

Comments are closed.