বেড থাকলেও রোগী প্রত্যাখ্যান, সল্টলেক আমরিকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের

শ্বাসকষ্ট নিয়ে হসপিটালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন ষাটোর্দ্ধ করোনা সংক্রমিত অমিতাভ সাহা

স্বাস্থ্য বিমা ছিল। হসপিটালের বেডও খালি ছিল। তবুও সল্টলেকের আমরি হসপিটাল ফিরিয়ে দিয়েছিল ষাটোর্দ্ধ করোনা সংক্রমিত রোগীকে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হসপিটালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন ষাটোর্দ্ধ অমিতাভ সাহা। বেড থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

অভিযোগ শোনা মাত্রই ওই বেসরকারি হসপিটালকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করল স্বাস্থ্য কমিশন। যার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। বাকি ১ লক্ষ টাকা বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালকে দিতে হবে।

প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে সল্টলেকের আমরি হসপিটালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন সাতষট্টি বছরের করোনা পজিটিভ অমিতাভ সাহা। অভিযোগ হসপিটালের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়, বেড নেই, ভর্তি নেওয়া যাবে না। অবশেষে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হন তিনি।

[আরও পড়ুন- লোকসভায় গো হারা হেরেছি, আমি জানি এবার পুষিয়ে দেবেন, উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী]

অমিতাভ বাবুর স্ত্রীর অভিযোগ, তিনি সাহা ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে চাকরি করতেন। ওই গবেষণা সংস্থায় কাজ করার সুবাদে স্বাস্থ্য বিমার অধিকারী তিনি। সেই বিমায় আমরি হসপিটালের সঙ্গে গবেষণা সংস্থার টাই-আপ রয়েছে। সেইমতো সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার আশায় সল্টলেক আমরিতে নিয়ে যাওয়া হয় অমিতাভ বাবুকে।

অভিযোগ ওই গবেষণা সংস্থার নাম শোনা মাত্রই হসপিটাল থেকে বেড না থাকার অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত কোভিড সংক্রমিত অমিতাভ বাবুকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডিতে। এরপর সরাসরি স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান অমিতাভ বাবুর পরিবার।

[আরও পড়ুন- তৃণমূলের “B-টিম” হবে না বিজেপি, শাহের নির্দেশে বঙ্গে দলত্যাগীদের নেওয়ায় রাশ, জানালেন বিজয়বর্গীয়]

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার ব্যানার্জি জানিয়েছেন, তদন্ত করে জানা গেছে ওইদিন সল্টলেকের আমরিতে করোনা বিভাগে ২ টি বেড খালি ছিল। আর ঢাকুরিয়া আমরিতে ২৩ টি বেড ছিল। তবুও হসপিটাল ভর্তি নিতে চায়নি। এই বিষয়ে হসপিটালের এক কর্মী জানিয়েছেন, ওই গবেষণা সংস্থার সঙ্গে আমরির টাই-আপ থাকলেও টাকা পেতে সমস্যা হয়। গবেষণা সংস্থার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Comments are closed.