কেন্দ্রীয় সরকার সাজিদ লোনকে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী করতে চেয়েছিল, বললেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক

চির প্রতিদ্বন্দ্বী মেহেবুবা মুফতি-ওমর আবদুল্লা এবং কংগ্রেস জোটের খবর প্রকাশ্যে আসতেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল! গত বুধবার সন্ধে নাগাদ রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বিধানসভা ভাঙার সিদ্ধান্তের পর এমনই অভিযোগ তুলেছিল পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। তবে সে অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করে, তাঁর সিদ্ধান্তের পেছনে এক ‘নতুন’ তত্ত্ব দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে সত্যপাল মালিক মঙ্গলবার জানান, কেন্দ্র সরকার চেয়েছিল সাজিদ লোনকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসাতে। আর তা তিনি চাননি। তবে এনিয়ে কেন্দ্র তাঁকে কোনও ‘রাজনৈতিক চাপ’ দেয়নি বলে স্বীকারোক্তি সত্যপাল মালিকের। এসিদ্ধান্ত তাঁর নিজস্ব বলে দাবি করেন সত্যপাল। অনেকেই বিধানসভা ভাঙা নিয়ে তাঁর দিকে আঙুল তুলছেন। কিন্তু তিনি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার বলে মন্তব্য মালিকের। এছাড়াও মালিক দাবি করেন, মেহেবুবা মুফতির পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স সরকার গড়তে চায়নি। তাঁরাও আসলে বিধানসভা ভাঙার দিকেই তাকিয়েছিলেন।
সত্যপালের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্তার কটাক্ষ, খবরে থাকতে এরকম মন্তব্য করছেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভাঙার ঠিক পরেই সত্যপাল মালিক জানিয়েছিলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজ্য পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় তিনি এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মালিক নাম না করে অভিযোগ করেছিলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঘোড়া কেনাবেচা ও আর্থিক লেনদেন হয়েছে। তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ওমর আবদুল্লা।
যদিও বিরোধী দলগুলি দাবি করে, সত্যপালের সিদ্ধান্তের পেছনে হাত ছিল বিজেপি সরকারের।
বিধানসভা ভাঙার পরে পিডিপি সুপ্রিমো মেহেবুবা মুফতি অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেসের ১২ টি আসন ও ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্সের ১৫ আসন নিয়ে মোট ৫৬ আসনে তাঁদের সমর্থন আছে দাবি করে চিঠি পাঠানো উদ্যোগ নেওয়া হয় রাজ্যপালের কাছে। আর তাতে সহজেই বিধানসভার ৮৭ টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতো জোট। কিন্তু কোনওভাবেই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। ঠিক এরপরেই প্রকাশ্যে আসে রাজ্যপালের বিধানসভার ভাঙার কথা।

Comments are closed.