পানিহাটি কাউন্সিলর খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়, গ্রেফতার খুনের সুপারি দেওয়া ঠিকাদার  

পানহাটি পুরসভায় কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। ভাড়াটে খুনিকে নিযুক্ত করার অভিযোগে মঙ্গলবার সঞ্জীব পণ্ডিত নাম একজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে সুপারি কিলার অমিত পণ্ডিত, যাকে রবিবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁর আত্মীয় হন ধৃত সঞ্জীব পণ্ডিত। সঞ্জীব পেশায় পানিহাটি পুরসভার ঠিকাদার। 

অমিতকে জেরা করেই অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। সুপারি কিলার অমিত জানিয়েছেন, অনুপমকে দীর্ঘ দিন ধরেই খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। এর আগেও এই কাজে এক সুপারি কিলারকে নিযুক্ত করেছিলেন ধৃত সঞ্জীব। কিন্তু ওই পেশাদার খুনি টাকা নিয়েও কাজ না করায় প্রথমে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সঞ্জীব। এই কাজের ভারও অমিতকেই দেন তিনি। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয়, কাউন্সিলর অনুপম এবং প্রথম ভাড়াটে খুনিকে মারার জন্য একই বন্দুক ব্যবহার করেছিলেন অমিত। 

এদিকে ধৃত ঠিকাদার সঞ্জীবের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কাউন্সিলর অনুপমের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ ছিল সঞ্জীবের। সে কারণে ২০২১-এর আগে বিজেপিতে যোগ দেন সঞ্জীব। মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষীও এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সঞ্জীব বিজেপি করতেন। তাঁর দাবি সঞ্জীব ছাড়াও আরও অনেকে রয়েছে এই ঘটনার নেপথ্যে। তাঁদের গ্রেফতার করা হোক।  

সঞ্জীবের বিজেপি যোগের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র সমীক ভট্রাচার্য বলেন, ২০২১-এর আগে অনেকের মতো সঞ্জীবও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু ২ মে ফলাফল বেরোনোর পর বিজেপির সঙ্গে ও আর কোনও সম্পর্ক রাখেনি। শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেই কাউন্সিলর খুন হয়েছেন।  

Comments are closed.