অধিবেশনের প্রথম দিনে মিমি, নুসরত সহ ৬ মহিলা সাংসদের সঙ্গে শশী থারুরের ছবি, সমালোচনার পর ক্ষমাপ্রার্থী কংগ্রেস সাংসদ

৬ মহিলা সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সাংসদ শশী থারুরের এই ছবি ঘিরে দিনভর চলল ট্রোল ও সমালোচনার ঝড়। সমালোচনার মুখে পরে অবশেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন শশী থারুর। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান সহ আরও ৪ জন সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ওই ছবিতে ছিলেন সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে, প্রিনীত কাউর, থামিজাচি থাঙ্গাপান্ডিয়ান, জ্যোতিমানি। সেখানে তিনি লেখেন, কে বলে লোকসভা কাজের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা নয়? আজ সকালে আমার ছয় সহকর্মী সাংসদের সঙ্গে।

এরপরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। কেউ লেখেন, মহিলা সাংসদদের কি ঘর সাজানোর জিনিস ভাবছেন? মহিলা সাংসদদের কাজ মোটেই সংসদকে আকর্ষণীয় করা নয় ৷ অনেকে আবার তাঁকে যৌনবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকে। এধরনের পোস্টকে অনেকে অসম্মানজনক বলেও তোপ দেগেছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কংগ্রেস সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মহুয়ার বক্তব্য, একটা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে থারুরকে ট্রোল করা হচ্ছে।

বিতর্ক শুরু হতেই ফের একটি টুইট করে ক্ষমা চেয়ে নেন শশী থারুর। সেখানে তিনি লেখেন, সেলফি তোলা হয়েছিল করা হয়েছিল মহিলা সাংসদের উদ্যোগেই। তাঁরাই আমাকে এই টুইট করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি দুঃখিত কিছু মানুষ এতে অসন্তুষ্ট হয়েছে। আমি কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্ব বোঝাতে এই টুইট করেছি।

এর আগে মহিলা সাংসদের সঙ্গে থারুরের ছবি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ২০১৪ সালে। সংসদের ঢোকার মুখে তত্কালীন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেনের সঙ্গে শশীর একটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন চিত্রসাংবাদিকরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তা ভাইরাল হয়েছিল।

Comments are closed.