বিজেপিকে ‘খামোশ’ করে ‘হাত’ ধরছেন শত্রুঘ্ন সিনহা, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নিজেই জানালেন সেকথা

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার রাস্তা তৈরি করেই রেখেছিলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিলমোহর বসালেন তাতে। সূত্রের খবর, আগামী ৬ ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেবেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, রাহুল গান্ধী তাঁর প্রশংসা করে বলেছেন, বিজেপির মধ্যে মর্যাদা বজায় রেখেই বিদ্রোহ ও সমালোচনা করেছেন তিনি। শত্রুঘ্ন এও জানান, নেহরু-গান্ধী পরিবারই দেশের প্রকৃত নির্মাতা।
তবে বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ যে কঠিন ছিল, তাও মেনে নিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর একটি ট্যুইট করেন বিজেপির দু’বারের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। ট্যুইটে তিনি লেখেন, বিজেপি ছেড়ে যাওয়াটা বেদনাদায়ক। তবে বন্ধু লালুপ্রসাদ যাদবের শক্তিশালী এবং নেহরু-গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বে সঠিক রাস্তায় তিনি চলা শুরু করলেন, বলে ট্যুইটে লেখেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। গত এক বছর ধরে তিনি নানা বিষয়ে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপিতে থাকাকালীনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রিগেডে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সমাবেশেও হাজির হয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি যে পাটনা সাহিব থেকে আর বিজেপির টিকিট পাবেন না তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। ওই কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপির হয়ে লড়বেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শত্রুঘ্ন অবশ্য দাবি করেছেন, কখনও দলের বিরোধিতা করেননি তিনি। বরং বিজেপির ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’র সমালোচনা করেছেন। একসময়ের বলিউডের ‘অ্যাংরি ইয়ংম্যানের’ তোপ, বিজেপিতে একনায়কতন্ত্র চলছে। তাই, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
পুরোনো শিবির ছেড়ে, নতুন করে রাজনৈতিক সফর শুরু করতে চলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। শুক্রবার একটি ট্যুইটে তাঁর সঙ্গে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দুটি ছবি পোস্ট করে শত্রুঘ্ন লেখেন, ‘সহি দিশা, নয়ি দিশা, নয়া দোস্ত অউর নয়া নেতৃত্ব।’

Comments are closed.