৩৫ বছর বাদে মিলল বিচার, ইন্দিরা হত্যার পর শিখ নিধনের ঘটনায় ৮৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লি আদালত

১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর শিখ নিধনের ঘটনায় দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ৮৮ জনকে অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করল দিল্লি হাইকোর্ট। ১৯৯৬ সালে নিম্ন আদালত ১৯৮৪ সালের দাঙ্গায় ১০৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৮৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ৮৮ জন। বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট ওই ৮৮ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। যদিও জানা গিয়েছে, এর মধ্যে অনেকেই মারা গিয়েছেন। অনেকেই গুরুতর অসুস্থ।
১৯৮৪ সালে ২ শিখ ব্যক্তিকে হত্যার অপরাধে সম্প্রতি ৬৮ বছর বয়সী নরেশ শেরওয়াত নামে এক অভিযুক্তকে মৃত্যদণ্ড ও ৫৫ বছরের যশপাল সিংহকে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করেছে দিল্লি আদালত। এবার ৮৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
১৯৮৪ সালে শিখ নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর ভারতের নানা প্রান্তে শুরু হয় শিখ নিধন। দেশজুড়ে শিখ ধর্মের মানুষের ওপর শুরু হয় অত্যাচার। সরকারি হিসেবে, প্রায় ৩ হাজার শিখ ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করা হয়। শিখদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয় রাজধানী দিল্লিতে।
দাঙ্গার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পড়ে দিল্লির ত্রিলোকপুরীতে, যেখানে বহু শিখ ধর্মাবলম্বীরা মানুষ বসবাস করতেন। প্রথম এফআইআর অনুযায়ী, ত্রিলোকপুরীতে কমপক্ষে ৯৫ জন মানুষের মৃত্যু হয় দাঙ্গায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের ঘর-বাড়ি। জারি হয় কার্ফু। তারপরেও জারি থাকে অশান্তি। দাঙ্গা লাগানো ও কার্ফু অমান্য করার অভিযোগে ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ৮৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এই অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই এখন আর জীবিত নেই।
এই ‘গণহত্যা’র জন্য ২০১৫ সালে কেন্দ্র বিশেষ তদন্তকারী দলকে এই কেসের ভার দেয়। পুণরায় ২২৫ টি কেস খোলা হয় মূল অপরাধীদের ধরার জন্য। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার ও জগদীশ টাইটলারের নামও।
ইতিপূর্বে,১৯৮৪ সালে ২ শিখ ব্যক্তিকে হত্যার অপরাধে ৬৮ বছর বয়সী নরেশ শেরওয়াত নামে এক অভিযুক্তকে মৃত্যদণ্ড ও ৫৫ বছরের যশপাল সিংহকে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করেছে দিল্লি আদালত।

Comments are closed.