জেএনইউ নিয়ে পথে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ, দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিকস

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জেএনইউ হামলার প্রতিবাদে এবার পথে নামল দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ। বুধবার ক্লাস বয়কট করে সেন্ট স্টিফেনস কলেজের পড়ুয়ারা প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে নিয়ে মিছিল করেন ক্যাম্পাসে। একাধিক পোস্টারে দেখা গিয়েছে সংবিধানের প্রস্তাবনার লাইন।

একইভাবে এদিন ক্লাস বয়কট করে প্রতিবাদে সামিল হন দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিকসের পড়ুয়ারা।
জেএনইউ পড়ুয়াদের উপর হামলা এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তাতে যুক্ত হল দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের নামও। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে কলেজের সায়েন্স ধাবা থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করতে করতে মিছিল করেন পড়ুয়ারা। এরপর নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। নাগরিকপঞ্জি ও জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির বিরুদ্ধেও সরব হন তাঁরা। কলেজের প্রাক্তনীদের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, ক্লাস বয়কট করে কোনও প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হওয়ার ঘটনা এই কলেজে বিরল। বৃষ্টি তোয়াক্কা করেই কলেজের মাঠে সভা করেন পড়ুয়ারা।

সেন্ট স্টিফেন্সের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছে সেন্ট স্টিফেন্স। ক্লাসের দরজায় পোস্টার মারা হয়েছে। কোনওটাতে লেখা, ‘হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’, আবার কোনওটায় লেখা ‘আজাদ কো আজাদ করো’, ‘ফ্রি অখিল গগৈ’।
কলেজের এক অধ্যাপক সাংবাদিকদের বলেন, মণ্ডল আন্দোলনের ৩০ বছর পর এই প্রথম ক্লাস বয়কট করে আন্দোলনে সামিল হল সেন্ট স্টিফেন্সের পড়ুয়ারা। সংশধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআরের বিরোধিতা এবং গত রবিবার জেএনইউ পড়ুয়াদের উপর আক্রমণের নিন্দায় পথে নেমেছে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের পড়ুয়ারা।
দিল্লির এই বিখ্যাত কলেজের প্রাক্তনীদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।

Comments are closed.