রাজ্য বিজেপিতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে, অভিযোগ দলের সহ-সভাপতি চন্দ্র কুমার বসুর।

২৭ শে জুন অমিত শাহর রাজ্য সফরের ঠিক আগে রাজ্য বিজেপিতে ডামাডোল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুললেন সহ-সভপতি চন্দ্র কুমার বসু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য নেতৃত্ব তথা সভাপতি পদে রদবদলের গুজব নিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলতা ছড়িয়ে পড়ছে। যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে কর্মীদের মধ্যে। ২০শে জুন চন্দ্র কুমার বসু ট্যুইট করে দাবি করেন, রাজ্য বিজেপিতে গণতন্ত্র বলে কিছু বাকি নেই। পাশাপাশি, এনকাউন্টারের তত্ত্ব দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত মত বলে জানান চন্দ্র কুমার বসু।
thebengalstory.com কে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস ধরে গুজব চলছে। কখনও সভাপতি নিজে বলছেন, ”তিনি ডিসেম্বর পর্যন্ত পদে থাকবেন, কখনও কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করছেন, দিলীপ ঘোষ লোকসভা ভোট অবধি থাকবেন”। অনেকে দলের মধ্যে গুজব ছড়িয়েছেন, পঞায়েত নির্বাচনের পরেই রদবদল হতে পারে। এতে নিচুতলার কর্মীরা সমস্যায় পড়ছে এবং দলের প্রতি ভুল বার্তা যাচ্ছে’। তবে চন্দ্র বসু বারবার দাবি করেছেন, তাঁর অভিযোগ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নয়। বরং তিনি চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক।
তাঁর বক্তব্য, ‘যাঁরা এ সব গুজব ছড়াচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিক। কিন্তু কেউ এঁদের কিছু বলছে না।’ তাঁর দাবি, দলে শৃঙ্খলার বার্তা দিতে না পারলে, তার ফল নেতিবাচক হতে পারে। এভাবে তৃণমূলের সাথে টক্কর দেওয়া সম্ভব নয়।
বসুর দাবি, দলে উপযুক্ত লোকের অভাব আছে। দলের বিভিন্ন স্তরে স্বজন-পোষনের ফলে সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে। ঠিক লোককে দায়িত্ব দিলে তবে সংগঠন মজবুত হবে। যদি বিজেপি নিজেকে উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে পারে, তবে বাংলার মানুষ তাদের সুযোগ দিতে পারেন। উপযুক্ত ব্যক্তিদের পদে না আনলে বিজেপির এই রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলেই তাঁর মত। তাঁর মতে, সংগঠনের এরকম হাল থাকলে এ রাজ্যে বিশেষ কিছু করা সম্ভব
পাশাপাশি সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ‘এনকাউন্টার তত্ত্ব’ রাজ্য সভাপতির ব্যক্তিগত মত বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য,’রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেই এই তত্ত্বের সঙ্গে সহমত নয়। এটা দিলীপদার ব্যক্তিগত মত হতে পারে। আমি মনে করি মারদাঙ্গা করে কিছু হবে না। তৃণমূল সন্ত্রাস করলে আমাদেরও তা করতে হবে বলে আমি মনে করি না।”
তাঁর দাবি, দলকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে না তুলতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ- সবকা বিকাশ’ এই ইচ্ছা কখনই পরিপূর্ণ হবে না। তাঁর দাবি, বাঙালিরা শান্তিপ্রিয়, এরকম মন্তব্যের কারণে একটি বড় অংশের মানুষের সমর্থন দল হারাতে পারে।
চন্দ্র কুমার বসুর বক্তব্য, ‘আমি আগে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছি, অন্যেরাও লিখেছেন। তাঁর সফরের সময়ে আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলব। আশা করব অন্য সহকর্মীরাও বলবেন’।

Leave A Reply

Your email address will not be published.