বিশ্ব উষ্ণায়ন, আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরুদ্ধে একজোট ইউরোপের স্কুল পড়ুয়ারা, ক্লাস বয়কট করে ধরণা কর্মসূচি ছাত্র-ছাত্রীদের

ভবিষ্যতই যদি সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে পড়াশোনা করে কী হবে? আমরা চাই এমন এক সুরক্ষিত পৃথিবী যেখানে আমরা আরও ৬০ বছর বাঁচতে পারব। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এই বার্তা দিয়ে এবং দ্রুত আবহাওয়ার এই পরিবর্তন রুখতে রাষ্ট্র নেতাদের কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়ে ইউরোপেজুড়ে প্রতিবাদে নামল ক্ষুদে পড়ুয়ারা। সুইডেন থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন গত তিন সপ্তাহে ধীরে ধীরে ছড়িয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানিসহ ইউরোপের একাধিক দেশে। স্কুল-ক্লাস বয়কট করে এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছে ১৪-১৬ বছরের স্কুল পড়ুয়ারা।
তিন সপ্তাহ আগে সুইডেনের ১৬ বছরের স্কুল পড়ুয়া গ্রেটা থানবার্গ বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে এবং সেই সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি মেনে চলার দাবিতে প্রথম ধরণায় বসে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে। গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতি শুক্রবার এই অবস্থানে বসছে সে। তার এই আন্দোলন নজর কেড়েছে বহু সুইডেনবাসীর। তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন শত শত মানুষ। দেশের বাইরে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও সাড়া ফেলেছে গ্রেটা থানবার্গের এই অবস্থান বিক্ষোভ।
গত শুক্রবার বেলজিয়াম, সুইৎজারল্যান্ডে তার পাশে দাঁড়িয়ে প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া স্কুল বয়কট করে। জার্মানিতে ওই দিন ৫০ টি শহরের প্রায় ৩০ হাজার স্কুল পড়ুয়া ক্লাস কামাই করে এই ইস্যুতে। ব্রিটেনে এখনও এতটা জমাট না বাধলেও, আগামী ১৫ তারিখ সেখানেও স্কুল বয়কট করার পরিকল্পনা নিয়েছে পড়ুয়ারা।
এই মুহূর্তে সুইৎজারল্যান্ডের দাভোস শহরে বসেছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বৈঠক। বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধানরা সেখানে উপস্থিত, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবার দাভোসে কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে গ্রেটা। ইতিমধ্যেই সে পৌঁছে গেছে দাভোসে। শুক্রবার শেষ দিন এই ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বৈঠকের। ওই দিন তার সমর্থনে সুইডেনের স্কি রিসর্টে সে দেশের স্কুল পড়ুয়ারা একত্রিত হবে।
নিজের দাভোস কর্মসূচি নিয়ে গ্রেটা জানিয়েছে, এটা করতেই হবে, এটাই সময়ের দাবি। বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় সে জানিয়েছে, বিশ্ববাসীর স্বার্থে, সঠিক ইতিহাস তৈরির পথে হাঁটুন এবার।

Comments are closed.