২০২৪ সালের এপ্রিলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের এসএসসি’র গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। একই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, যাঁরা এত বছর অবৈধ ভাবে চাকরি করছিলেন, তাঁদের সুদ সমেত এতদিন ধরে পাওয়া বেতন ফেরত দিতে হবে।
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলই বাতিল। বৃহস্পতিবার সেই রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও। চাকরি গেল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলা করে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের উপর ২০২৪ সালের ৭ মে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শুধু যোগ্যদের চাকরি রাখার পক্ষে সওয়াল করে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আদালতে এসএসসি জানিয়েছিল, র্যাঙ্ক জাম্প বা প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য থাকলেও ওএমআর কারচুপির তথ্য নেই। কারণ ওএমআর-এর কোনও হদিশই নেই। এতজন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর একসঙ্গে চাকরি বাতিল হলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাজ্য।
১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছিল, ৩ এপ্রিল রায়দান হবে। বৃহস্পতিবার সেই রায়দান হলে। হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
Comments are closed.