৩০ জন সিনিয়রকে টপকে ২ জুনিয়র বিচারপতির সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ, সমালোচনা দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির

বিচারপতি নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়াম প্রথা নিয়ে কেন্দ্র বনাম সুপ্রিম কোর্টের মত পার্থক্যের মাঝেই, দুই বিচারপতির পদোন্নতি নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
গত ১০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন কলোজিয়াম কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ও দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারপতি হিসাবে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব করে। কেন্দ্র তাতে সায়ও দেয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও ইতিমধ্যে নয়া এই দুই বিচারপতির নিয়োগ প্রস্তাবে সই করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সম্ভবত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নয়া বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন দীনেশ মহেশ্বরী ও সঞ্জীব খান্না।
সুপ্রিম কোর্টের নয়া বিচারপতি হিসেবে এই দু’জনের নাম প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, সিনিয়রিটির দিক দিয়ে তাঁদের আগে আরও প্রায় ৩০ জন বিচারপতি থাকলেও কেন এতজনকে টপকে এই দু’জনের নাম প্রস্তাব করল কলোজিয়াম।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে দুই বিচারপতির পদের জন্য প্রদীপ নন্দ্রাযোগ ও রাজেন্দ্র মেননের নাম নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু হঠাৎই তাঁদের বদলে দীনেশ মহেশ্বরী ও সঞ্জীব খান্নার নাম কেন্দ্রে কাছে পাঠানো হয় কলোজিয়ামের তরফে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হচ্ছে, এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু ক্ষেত্রে সিনিয়রদের টপকে জুনিয়র বিচারপতিদের এই পদে বসার নজির আছে। শেষ মুহূর্তে নাম পরিবর্তনের নজিরও আছে। তবে যুক্তি বা সাফাই যাই দেওয়া হোক না কেন দেশের বহু বিশিষ্ট আইনজীবী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কলোজিয়ামের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
এই সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন কলোজিয়ামের স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা উচিত। কলোজিয়াম একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে, কারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে নয়। তাই কোনও সিদ্ধান্ত বদল হলে তা কেন হল তা মানুষের জানা উচিত।

Comments are closed.