দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে ভোটে লড়া যাবে না, বিজেপি নেতার জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

দুটির বেশি সন্তান থাকলে নির্বাচনে লড়া যাবে না, উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদন করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
উত্তর প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর আবেদন ছিল, দুটির বেশি সন্তান থাকলে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকেই ভোটে লড়ার টিকিট দেওয়া হবে না, এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। এছাড়াও, আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় তাঁর পিটিশনে জানান, দুটির বেশি সন্তান থাকলে নির্বাচনী অধিকার, সরকারি চাকরি, ভর্তুকি ইত্যাদির ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হোক। তাঁর মতে, এতে অনেকাংশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হবে।
সোমবার তাঁর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে সুপ্রি কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর সহাস্য মন্তব্য, ‘আপনার আবেদন যেন কী? আমাদের বুঝতে দিন আপনার আবেদন।’
আইনজীবী উপাধ্যায় বলেন, দুটির বেশি সন্তান রয়েছে নেতাদের ভোটে লড়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আনা হোক।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এ নিয়ে তাঁদের করণীয় কিছু নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে সুপ্রিম কোর্ট বলতে পারে, কারোর দুটির বেশি সন্তান থাকলে, তিনি নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।
এরপরেই, অন্য প্রশ্নে যান আইনজীবী উপাধ্যায়। তিনি জানান, সমান অধিকার বলবৎ করতে, ২০১৮ সালে সাবরীমালা মন্দির প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু বিবাহযোগ্য ছেলে ও মেয়ের বয়স যথাক্রমে ২১ এবং ১৮ করাও একপ্রকার বৈষম্য বলে মন্তব্য আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের।
তাঁর এই যুক্তিও নস্যাৎ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ আইনকে গুলিয়ে ফেলছেন পিটিশনকারী তথা আইনজীবী। এরপরেই এই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি।
কিছুদিন আগেই বাবা রামদেব দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় বাতলে দিয়েছিলেন। তিনি নিদান দেন, দুটির বেশি সন্তান থাকলে সেই পরিবারের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে সবরকম সরকারি সুবিধা কেড়ে নেওয়া উচিত। প্রায় সেইরকম আবেদন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।

Comments are closed.