নির্বাচনী বন্ড বৈধ, তবে যাবতীয় তথ্য ৩১ শে মে’র মধ্যে জানাতে হবে কমিশনকে, সব দলকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বন্ধ হচ্ছে না নির্বাচনী বন্ড প্রক্রিয়া। তবে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে সব রাজনৈতিক দলকে, নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানায়, ১৫ ই মে পর্যন্ত প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে যত টাকা পাবে, অর্থ সাহায্যকারীদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তথ্য ৩১ শে মে’র মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করতে হবে। তবে নির্বাচনী বন্ড বৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কমন কজের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নির্বাচনী বন্ডে দাতার নাম ও পরিচিতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রকাশ করা হয় না বলে আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতে সওয়াল করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বেনামি তহবিলের মাধ্যমে সাহায্য করার অর্থ, দুর্নীতির দরজা খুলে দেওয়া। নামবিহীন ইলেক্টোরাল বন্ডের ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপেরও আর্জি জানান পিটিশনকারীরা।
কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী সুপ্রিম কোর্টকে জানান, নির্বাচন কমিশন ইলেক্টোরাল বন্ডের বিরোধিতা না করলেও, তথ্য গোপনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন তাদের হলফনামায় জানায়, এই কারনেই যখন ফিনান্স অ্যাক্টের মাধ্যমে ইলেক্টোরাল বন্ড প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল, তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কমিশন। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ভারতের রাজনীতিতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল দাবি করেন, যিনি বা যারা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ সাহায্য করছেন, তাদের নাম প্রকাশ করা হলে, তারা অন্য রাজনৈতিক দলের আক্রমণের শিকার হতে পারেন।
যদিও, শেষ পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলকে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ, আগামী ৩১ শে মে’র মধ্যে অর্থ সাহায্যকারীদের নাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হবে।

Comments are closed.