সঙ্কটে ভোডাফোন-এয়ারটেল, কেন্দ্রকে মেটাতে হবে ৯২ হাজার কোটি টাকা, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যবসা চালাচ্ছে বলে বহুদিন ধরেই অভিযোগ করছিল কেন্দ্র। বিশেষত অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ বা এজিআর নিয়ে কেন্দ্র ও বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির বিবাদ বহুদিনের। এবার ভোডাফোন আইডিয়া, ভারতী এয়ারটেল সহ একাধিক বেসরকারি টেলিকম সংস্থাকে লাইসেন্স ফি এবং স্পেক্ট্রাম ফি বাবদ ৯২ হাজার কোটি টাকা এজিআর দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এ এ নাজির ও বিচারপতি এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে রায় দেওয়ায় সবচেয়ে বড় বিপাকে পড়েছে ভোডাফোন আইডিয়া এবং ভারতী এয়ারটেল। প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা শুধু এয়ারটেলের কাছ থেকে পায় কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর। ভোডাফোনের কাছ থেকেও লাইসেন্স ফি বাবদ প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা পাওনা কেন্দ্রের। এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে টেলিকম শেয়ারে ব্যাপক হারে পতন হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের রায়ে স্বভাবতই হতাশ এয়ারটেল, ভোডাফোন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরে এয়ারটেলের এক মুখপাত্র বলেন, এমন এক সময়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এল, যখন টেলিকম সেক্টর প্রচণ্ডরকম আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে চলছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে টেলিকম সংস্থাগুলির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন এয়ারটেলের ওই মুখপাত্র। সেলুলার অপারেটর’স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (সিওএআই) ডিরেক্টর জেনারেল রঞ্জন ম্যাথুরও একই মত।
অন্যদিকে কেন্দ্রের সওয়াল, বহুদিন ধরেই প্রাপ্য পাওনা দিচ্ছে না বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি। এদিকে মুকেশ আম্বানীর রিলায়েন্স জিও পরিষেবা চালুর পর বহু ২ জি নেটওয়ার্ক অপারেটর ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া জিওর সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ভোডাফোন, এয়ারটেলের মতো সংস্থাগুলির অবস্থাও তথৈবচ। বর্তমানে টেলিকম সংস্থা যখন প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের দায়ে ধুঁকছে, তখন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় টেলিকম সেক্টরের পক্ষে আরও বিপজ্জনক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments are closed.