মোদী কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে ক্ষতি জরিপ করে রাজ্যকে সাহায্য করবেন কি? যশে ধ্বংসের ছবি দিয়ে প্রশ্ন সূর্যকান্ত মিশ্রের

বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ তিনি যশ বিধ্বস্ত উপকূলবর্তী এলাকার কতগুলি ছবি ট্যুইট করেন। বাঁধ ছাপিয়ে হুহু করে ঢুকছে সমুদ্রের জল

দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের ৬ মাস হয়ে গেল। কিন্তু দাবি পূরণ এখনও দূর অস্ত। এই প্রেক্ষিতে বাংলা, ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ। তার তাণ্ডবে লন্ডভণ্ড পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এবার এই ইস্যু নিয়ে মোদী সরকারকে সরাসরি বিঁধলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ঘুরিয়ে খোঁচা দিলেন বাংলায় বারবার কেন্দ্রীয় দল পাঠানোকে।

বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ তিনি যশ বিধ্বস্ত উপকূলবর্তী এলাকার কতগুলি ছবি ট্যুইট করেন। বাঁধ ছাপিয়ে হুহু করে ঢুকছে সমুদ্রের জল। টিনের চালের বাড়ির সিংহ ভাগ ডুবে রয়েছে জলের তলায়। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক লেখেন, রাজ্যের উপকূলবর্তী গ্রামে ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাব দেখুন। তিনি আরও লেখেন, একজন সাহসী যুবক একা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী কী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে বিপর্যস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি তদারকি করে রাজ্যকে সাহায্য করবেন?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটের পর থেকে যেভাবে ঘন ঘন কেন্দ্রীয় দল বাংলায় আসছে, সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলার ছবি শেয়ার করে ঘুরিয়ে মোদী সরকারকেই নিশানা করলেন।

২৬ মে দিনটিকে সিপিএম কালা দিবস হিসেবে পালন করছে। গত বছর ২৬ নভেম্বর দিল্লির দুয়ারে ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে বসেন কৃষকরা। ৬ মাস পরেও তাদের দাবি অপূর্ণ। বাংলা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসলীলার ছবি তুলে ধরে, কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর দাবি জানানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের জন্য সাহায্যের দাবি করলেন।

বুধবার সকাল ৯ টা নাগাদ উড়িষ্যায় আছড়ে পড়ে বিধ্বংসী ঝড় যশ। রাজ্যের একাধিক জায়গায় এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিঘা, মন্দারমনি, হলদিয়া সহ রাজ্যের একাধিক জায়গা সমুদ্রের জলে প্লাবিত। কোথাও নদী বাঁধ ভেঙে হুহু করে জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সরকারি হিসেবে সাড়ে এগারো লক্ষ মানুষ এখনও পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের ট্যুইট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

Comments are closed.