ফের কর্মী ছাঁটাই করল অনলাইন ডেলিভারি স্টার্টআপ স্যুইগি। এই দফায় কাজ হারালেন ৩৫০ কর্মী। স্যুইগি জানিয়েছে, লকডাউনের প্রভাব কাটিয়ে এখনও ব্যবসা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি। তাই ছাঁটাই। মে মাসে ১,১০০ জনের চাকরি গিয়েছিল।
করোনার ভয়ে অনেকেই বাইরের খাবার এড়িয়ে চলছেন। এই পরিস্থিতিতে ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে বহু হোটেল ও রেস্তরাঁর। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অনলাইনে খাবার আনিয়ে নেওয়ার পরিষেবাও। যে এলাকাগুলিতে এখনও অনলাইনে খাবারের অর্ডার দেওয়া কিছুটা হলেও চালু আছে, সেখানেই কর্মী বজায় রাখছে স্যুইগি। যে সব এলাকায় অনলাইনে খাবার অর্ডার একেবারেই কমে গিয়েছে, সেই সব এলাকা থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে।
করোনার আগে যা ব্যবসা হত, তার মাত্র ৫০ শতাংশ ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানাচ্ছে স্যুইগি। এর পরে আর কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র।
লকডাউনের পর থেকে ক্লাউড কিচেন বিজনেস কিছুটা কমিয়ে গ্রসারি সরবরাহে বেশি জোর দিয়েছে স্যুইগি। দেশের ১২৫ টি শহরে তাদের গ্রসারি নেটওয়ার্ক কাজ করছে। ১৫ টি শহরে বাড়ি বাড়ি ওষুধও সরবরাহ করে তারা। কলকাতা সহ কিছু শহরে মদ ডেলিভারিও করছে স্যুইগি। তার পরেও ব্যবসার হাল খুব একটা ফেরেনি। তাই ফের সাড়ে তিনশো কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যে কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, তাঁদের তিন থেকে আট মাসের বেতন অগ্রিম দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া আরও এক বছরের জন্য দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন কর্মী ও তাঁদের পরিবার।