ফের সীমান্তে যুদ্ধ জিগির পাকিস্তানের, গুজরাত উপকূলে চরম সতর্কতা, অক্টোবর-নভেম্বরেই চূড়ান্ত যুদ্ধ, প্ররোচনা পাক মন্ত্রীর

গুজরাত বন্দর দিয়ে ঢুকে পড়তে পারে প্রশিক্ষিত পাক কম্যান্ডো বা জঙ্গিরা। এমনই গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে গুজরাত উপকূলের বন্দরগুলিতে চরম সতর্কতা জারি করল কেন্দ্র। উপকূলরক্ষী বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী-সহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কাণ্ডলা, মুন্দ্রা-সহ সব বন্দরেই জাহাজগুলির উপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। আদানি পোর্ট ও স্পেশাল ইকনমিক জোনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর কার্যালয় থেকে তাদের জানানো হয়েছে, কচ্ছ উপসাগরের হারামি নালা বা স্যর ক্রিক খাড়ি দিয়ে জঙ্গিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে পারে। এই জঙ্গিরা জলের নীচে হামলা চালানোতেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

এদিকে অক্টোবর বা নভেম্বরেই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে চূড়ান্ত তথা শেষ যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে এমনই প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ।
বুধবার রাওয়ালপিন্ডিতে পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলেন, আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরের মধ্যেই হতে পারে ভারত-পাক চূড়ান্ত যুদ্ধ। পাক মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, এটাই হবে কাশ্মীর নিয়ে চূড়ান্ত ও শেষ ফয়সালা। উপত্যকার সাম্প্রতিক সমস্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করে শেখ রশিদ আহমেদ বলেন, তাঁরা মোদীর জন্যই কাশ্মীর ইস্যুতে যুদ্ধের গন্ধ পাচ্ছেন।
গত ৫ ই অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ার পর, তা নিয়ে ইসলামাবাদ আপত্তি তুলেছে। কিন্তু বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি। চিনের সমর্থনে রাষ্ট্রসঙ্ঘে গিয়েও লাভ হয়নি ইমরানের দেশের। এই প্রেক্ষিতে সরাসরি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পাক মন্ত্রী। সেই হুমকির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় চরম সতর্কতা জারি হল গুজরাত উপকূলে। পাশাপাশি বুধবার গভীর রাতে ব্যালিস্টিক মিসাইল গজনভির সফল পরীক্ষাও সেরে ফেলেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, কাশ্মীর কখনও পাকিস্তানের ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না।

সব মিলিয়ে সীমান্তে ফের যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.