স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টাকায় গরীব কৃষকের বুকে বসল পেসমেকার

আগেই জানা গিয়েছিল, জটিল রোগের ক্ষেত্রেও চিকিৎসা করা যাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে। সেইমত ক্যানসার থেকে কার্ডিয়াক সংক্রান্ত সব জটিল রোগের চিকিৎসা করা যাচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে। এর প্রমাণ মিলল আসানসোলের পলাশডিহা গ্রামে। এক কৃষক বুধন বাউড়ি এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়েছেন। তাঁর বুকে বসেছে আড়াই লক্ষ দামের পেসমেকার। এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তিনি। দৈনিক ৭ ঘণ্টা ধরে চাষের কাজ করছেন।

স্থানীয় ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের উদ্যোগে গত ৮ মাস আগে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয় তাঁর। এই বিষয়ে কৃষক বুধন বাউড়ি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে অনেক ধন্যবাদ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে পরিবার ভেসে যেত।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসাথী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় প্রত্যেক বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধে পায় প্রত্যেক পরিবার। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। হাসপাতালে থাকাকালীন রোগীর সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা, ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের পরিষেবা পাওয়া যায় জেলার নথিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসাথী মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যায় নিকটবর্তী হাসপাতালের তালিকা। জিপিআরএসের মাধ্যমে নিকটবর্তী হাসপাতাল এবং সেখানে কীভাবে পৌঁছনো যায় তা দেখে নেওয়া যায়। কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, এই কার্ডের মাধ্যমে জটিল রোগের চিকিৎসাও করা যাবে। বিরোধী অনেক নেতার পরিবারের সদস্যরাও এই কার্ডের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। আসানসোলের পলাশডিহা গ্রামেই বুধন বাউড়ির সঙ্গে এক সত্তরোর্ধ্ব মহিলাও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে ওপেন হার্ট সার্জারি করিয়েছেন।

Comments are closed.