রাজ্য কৃষি দফতরের সহযোগিতায় কোচবিহারে আপেল ফলালেন এই কৃষক

কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশের আপেলের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এবার কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে পরীক্ষামূলকভাবে আপেল ও মিষ্টি কমলালেবু চাষে সাফল্য এসেছে। শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাট এলাকায় বড় ধাপেরচাত্রা গ্রামে আপেল ফলিয়েছেন বীরেন্দ্রনাথ বর্মন নামে এক চাষি। রাজ্য কৃষি দফতর থেকে তাঁকে ছ’টি আপেল ও কিছু মিষ্টি কমলালেবুর গাছ দেওয়া হয়েছিল। দু’বছর পর এবার ফল ধরেছে কমলা গাছে। একটি আপেল গাছে দু’টি আপেলও হয়েছে। কৃষি দফতরের সহযোগিতা ও পরামর্শে আপেল চাষে সাফল্য পেলেন বীরেন্দ্রনাথ বর্মন।

গতানুগতিক চাষের বাইরে বেরিয়ে ভিন্ন চাষে সুখ্যাতি রয়েছে বীরেন্দ্রনাথ বর্মনের। সাফল্যের সঙ্গে আম, লিচু বাগানের পাশাপশি মৌমাছি পালন করছেন তিনি।

এর আগেও রাজ্য কৃষি দফতরের সহযোগিতায় শীতলকুচি ব্লকে স্ট্রবেরি ও ড্রাগন ফল চাষে সাফল্য এসেছে। কোচবিহার জেলাজুড়ে আপেল, কমলা, ড্রাগন ফলের চাহিদা রয়েছে। এবার আপেল চাষে সাফল্য এলে কৃষিতে নতুন পালক যোগ হবে বলে মনে করছে কৃষি দফতর। এ বিষয়ে শীতলকুচি ব্লকের কৃষি দফতরের এক অধিকর্তা বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে আতমা প্রকল্পের আওতায় ওই চাষিকে আপেল ও মিষ্টি কমলা চাষে সহায়তা করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের কিছু আপেল চারা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ওই কৃষকের বাগানের একটি গাছে আপেল ফলায় খুশি আমরা। পরীক্ষামূলক এই চাষ সফল হলে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে আপেল চাষ সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

Comments are closed.