এবার বিয়েও হচ্ছে ভার্চুয়ালি আর প্রীতিভোজই অনলাইনে! পাত্র-পাত্রী বাংলার বাসিন্দা

এখন সব অনলাইনে। পড়াশোনা থেকে মিটিং, কেনাকাটা সব হচ্ছে অনলাইনে। তাই বলে অনলাইনে বিয়ে! আবার অনলাইনে প্রীতিভোজ। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই হয়েছে বাংলাতে। পূর্ব বর্ধমানের এক যুগলের এই ইউনিক বিয়ের আয়োজন এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।

পাত্র পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লারোডের সন্দীপন সরকার। আর পাত্রী বর্ধমান শহরের অদিতি দাস। ২৪ জানুয়ারি দুজনের বিয়ে। গুগল মিটে ভারচুয়ালি বিয়ে। আর প্রীতিভোজ অনলাইন হোম ডেলিভারিতে। পাত্র-পাত্রী জানিয়েছেন, এইরকম আইডিয়া আগে মাথায় ছিল না। সবাইকে নিয়ে আনন্দ করে বিয়ে করব, এই আশাই ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। তাঁরা জানিয়েছে, বিয়ে হচ্ছে গুগল মিটে। সেখানে একটা টিম কাজ করছে, ব্রডকাস্টিং থেকে ক্যামেরাপার্সন সবাই থাকছে সেই টিমে। আর প্রীতিভোজে খাবার পৌঁছে দেবেন কোনও একটি অনলাইনে ফুড সাপ্লায়ার কোম্পানি। সেখানে একটি টিম কাজ করছে। ওয়েস্টবেঙ্গলে সেই কোম্পানির যিনি হেড, তিনি এই কাজটি করছেন। সৌভাগ্যক্রমে তিনি বর্ধমানের লোক। তাই খাবার পৌঁছে দিতে কোনও অসুবিধা হবে না। খরচ একটু বেশি হলেও খাবার নষ্ট হওয়ার কোনও সুযোগ থাকবে না এখানে।

পাত্রী অদিতি দাসের কথায়, প্রথমে বাড়ির লোকরা বিষয়টিকে মেনে না নিলেও করোনা পরিস্থিতির কথা বুঝিয়ে বলা হয় এবং ভবিষ্যতে তা মেনে নেন বাড়ির সদস্যরা।

করোনাকালে বিয়ে করতে গিয়ে বর-কনে এবং অতিথি, সবারই সুরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দিতেই এই ভারচুয়ালি বিয়ে বলেই জানিয়েছেন পাত্রী অদিতি দাস এবং পাত্র সন্দীপন সরকার। তাঁদের এই এই সিদ্ধান্ত নজর কেড়েছে সকলের। বিবাহিত জীবন সুখের হওয়ার আশীর্বাদও করছেন সবাই।

Comments are closed.