দীপাবলীতে শ্যামাসঙ্গীতের তালে নেচে উঠবে তিলোত্তমার বিশ্বসেরা ‘ফাউন্টেন অফ জয়’

দীপাবলী উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে বাংলা। আলো ঝলমল বাংলাকে এবার উপহার দিচ্ছে ক্যালকাটা ইলেকট্রিক কর্পোরেশন অর্থাৎ সিইএসসি। একদিকে শ্যমাসঙ্গীত অন্যদিকে আলোর জলধারা। এইভাবেই ফাউন্টেন অফ জয়কে সাজিয়ে তুলছে ইলেকট্রিক কর্পোরেশন অর্থাৎ সিইএসসি।

২ নভেম্বর সন্ধ্যে ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে এই গান। শ্যামাসঙ্গীতের তালে তালে নেচে উঠবে ফাউন্টেন অফ জয়ের জলধারা। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ উপভোগ করতে পারবেন এই দৃশ্য। পান্নালাল ভট্টাচার্য, রামকুমার চ্যাটার্জি, অনুরাধা পড়োয়াল, মহেশররঞ্জন সোম, ইন্দ্রনীল দত্ত, প্রদ্যুৎ দে সরকার, তুষার দত্ত ও অরিজিৎ চক্রবর্তীর গাওয়া গান শোনা যাবে প্রায় ২০ মিনিট ধরে। এছাড়াও কালী বন্দনা শুনতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

কলকাতার এই ডান্সিং ফাউন্টেনের দেখাশোনা করে সিইএসসি। ১৯৯১ সালে কলকাতার ময়দান এলাকায় বানানো হয়েছিল ‘ফাউন্টেন অফ জয়’। তখন শহরে খুব লোডশেডিং হত। সেইসময় গোয়েনকা গ্রূপের চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গোয়েনকার উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ফাউন্টেন অফ জয়। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্ৰী জ্যোতি বসু এটির উদ্বোধন করেছিলেন। টুরিস্টদের পক্ষে ফাউন্টেন অফ জয়কে মনোরম করে তোলা হলেও এখন এখানে সমাজবিরোধিদের আখড়া হয়ে ওঠে। এরপর মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর পর কলকাতাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেন। শহরে নানা রকম আলো লাগানো হয়। ২০১২ সালে ফাউন্টেন অফ জয়কে নতুন করে সাজিয়ে তোলে সিইএসসি। ফাউন্টেনের মধ্যে আলো, জল ও শব্দের কোরিওগ্রাফি করা হয়। ২৬টি আলাদা পাম্পের সাহায্যে জল আসে ফাউন্টেনে। প্রতি মিনিটে ১৫ হাজার ৮০০ লিটার জল বেরোয় এই ফোয়ারা থেকে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত লাইট অ্যান্ড সাউন্ড হয় এই ফাউন্টেনে।

Comments are closed.