ভারী চেহারার জন্য কটূক্তি শুনতে হয়েছে বারবার, তীর্থঙ্করের বাঁ-পাই লিগ থেকে ছিটকে দিল মোহনবাগানকে

তাঁর ভারী চেহারার জন্য, সব সময় উড়ে আসে কটূক্তি। শুনতে হয়, ‘এই চেহারায় আবার ফুটবল হয় নাকি?’ তবু বারবার তিনি প্রমাণ করেছেন, ভালো খেলার জন্য চেহারা তাঁর কাছে কোনও সমস্যা নয়। তা বাঁ পা সম্পদ হতে পারে যে কোনও ফুটবল দলের। হারিয়ে গেছেন। আবার ফিরে এসেছেন ফিনিক্স পাখির মত। বেলঘরিয়ার তীর্থঙ্কর সরকার। বৃহস্পতিবারের মিনি ডার্বির রঙ একাই পাল্টে দিয়েছেন। বাঁ পায়ে দুরন্ত শটে যে গোলটি করেছেন, তা দীর্ঘ দিন মনে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের। শুধু গোল করা নয়, গোল করিয়েছেন তিনি। মোহনবাগানকে একা হাতেই ছিটকে দিয়েছেন লিগের লড়াই থেকে।
বেলঘরিয়ার এই ফুটবলার খেলা শুরু করেছিলেন স্থানীয় ক্লাবে। তারপর চলে যান গোয়ায়। সালগাওকারের হয়ে খেলার পর তিন বছর ছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজে। তারপর মোহনবাগান। এছাড়াও খেলেছেন মহামেডান, ভবানীপুর। গত বছর আবার যোগ দিয়েছিলেন মোহনবাগানে। কলকাতা লিগে মহামেডান স্পোটিং-এর বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন। আই লিগে খুব বেশি সুযোগ পাননি। গোড়ালির চোটের জন্য ভুগতে হয়েছে তাঁকে। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। চেষ্টা করছিলেন মাঠে ফেরার লড়াই চালানোর। কিন্তু মোহনবাগান সেই সুযোগ দেয়নি। ছেঁটে ফেলেছিল তীর্থঙ্করকে। যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছিল। জবাব দেওয়ার মঞ্চ খুঁজছিলেন। সেই মঞ্চ পেলেন বৃহস্পতিবার। মোহনবাগানকে উপযুক্ত জবাব দিলেন তীর্থঙ্কর। যাঁরা তাঁর ভারী চেহারা নিয়ে টিপ্পনী কাটেন, তাঁদের চুপ করিয়ে দিলেন। বারবার চোটের জন্য পারফরমেন্স গ্রাফ তলার দিকে নেমেছে। ময়দানের সর্মথকরা বলেন, চোট না পেলে আরও অনেক দূর যেতে পারতেন এই ফুটবলার। তবে হাল ছাড়ছেন না তিনি। তীর্থঙ্কর বলছেন, ‘কী হতে পারতো তা ভেবে লাভ নেই। নিজের ভাগ্যের দোষ দিই না। শুধু একটাই কথা বলব। এখনই ফুটবলটা ছেড়ে দিচ্ছি না। ভবিষ্যতে অনেক কিছু হতে পারে।’

Comments are closed.