TMC: BJP’র মধ্যেই বহিরাগত নিয়ে ক্ষোভ! ওদের তিন ভাগ, আদি, নব্য ও পর্যটক বিজেপি
ফেক নিউজে ওনাদের নোবেল দেওয়া উচিত, নাম না করে অমিত মালব্যকে খোঁচা কাকলি ঘোষ দস্তিদারের
আসন্ন বিধানসভা ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি। ঘনঘন বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ- জেপি নাড্ডারা। আর তাঁদের ‘বহিরাগত’ বলে অনবরত ভাবে আক্রমণ শানিয়ে যাওয়া রাজ্যের শাসক দলের এবার নয়া দাবি, এই ‘বহিরাগত’দের কেবল তারাই নয়, বিজেপির একাংশও ভালো চোখে দেখছে না। তাদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্য, ‘ওনাদের (বিজেপি) নিজেদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব চলছে। ওঁদের তিন রকম ভাগ হয়েছে। আদি বিজেপি, নব্য বিজেপি এবং পর্যটক বিজেপি।’
এদিন তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকের মূল নিশানা ছিল বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা বাংলায় বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। বিজেপিকে ফেক নিউজ ছড়ানোর জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া বলে কটাক্ষ করেন কাকলি।
তৃণমূল সাংসদের কথায়, বিজেপির পায়ের তলায় মাটি খসছে দেখে ওনাদের যে সর্বশ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী, তাঁকে পশ্চিমবাংলায় বাড়ি ভাড়া করা বসানো হয়েছে। কীভাবে বারে বারে মিথ্যে কথা সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে হয় তা সবচেয়ে ভালো জানে বিজেপির আইটি সেল। এরপর বিজেপি আইটি সেলের প্রধানের একের পর এক ট্যুইট তুলে ধরে কাকলির কটাক্ষ, ‘তাঁর মিথ্যাচারণ বলতে শুরু করলে ১৫ দিন লেগে যাবে। তবু মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য আজ এসব নিয়ে এসেছি।’
বিজেপি আইটি সেলের প্রধানের ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের একটি ট্যুইটের স্ক্রিন শট তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভারতের নোটবন্দি সমর্থন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ রিচার্ড থ্যালার। এমনই দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু থ্যালার নিজে বলেছেন যে তাঁর নামে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির আশঙ্কা মাফিক নোটবন্দি যে ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে তার প্রমাণ এখন পাওয়া গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে, ক্ষমতা দখলের এই মিথ্যাচারণ করে চলেছে বিজেপি। এর একটি নমুনা হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট নিয়ে একটি ‘ফেক পোস্ট’ এর কথা তুলে ধরেন কাকলি। বলেন, একটি ভোজপুরী সিনেমার দৃশ্যের ছবি
তুলে বাংলায় মহিলাদের সম্মানহানি হচ্ছে বলে রটনা করছে বিজেপি। এর দ্বারা ধরে নিতে হবে বিজেপি যা বলবে সেটি আসলে মিথ্যে তথ্য।
অমিত মালব্যকে ফেক নিউজ তৈরির কারখানার প্রধান বলেও নাম না করে নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ।