রাজ্যের বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অজয় নায়েককে অবিলম্বে সরাতে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

বুধবারই এ রাজ্যে প্রচারে এসে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এ রাজ্যের বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অজয় নায়েককে অবিলম্বে সরাতে কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওয় এই দাবি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তৃণমূলের ট্যুইটার পেজ থেকে বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় অজয় নায়েকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছেন ডেরেক। প্রথমত, কীভাবে অজয় নায়েকের মতো একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে ভোটের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

ডেরেকের দাবি, রিপ্রেজেন্টশন অব পিপলস অ্যাক্ট অনুযায়ী, কোনও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীকে নির্বাচনের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রাখা যায় না। তাই অজয় নায়েককে বিশেষ পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অপসারণের জন্য কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও, অজয় নায়েক পক্ষপাতদুষ্ট ও বিজেপিকে ভোটে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র। বিশেষত সীমান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তাঁর কথায়, অজয় নায়েকের কর্মকাণ্ড ও বিবৃতি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। তাই অবিলম্বে অজয় নায়েককে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি করেছেন তাঁরা।
দ্বিতীয় দফা ভোটের শেষে অজয় নায়েকের একটি মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। অজয় নায়েক মন্তব্য করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা ১০ বছর আগের বিহারের মতো। সে সময় বিহারের নির্বাচনের সময় এত সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করতে হোত, এখন যা এ রাজ্যে করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই মন্তব্যের দিন দুয়েক পরে রাজ্যের সাত পুলিশ অফিসারকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
অজয় নায়েকের মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ তৃণমূল অভিযোগ করে, বাংলাকে অপমান করছেন নির্বাচনী বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট দলের নির্দেশ মাফিক কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

Comments are closed.