মোদীর মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিতঃ মমতা, ৪০ বিধায়কের বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের

নির্বাচনী সভায় এসে প্রধানমন্ত্রী ঘোড়া কেনাবেচা ও মিথ্যে তথ্য দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল, এই মর্মে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল। এই প্রসঙ্গ তুলে মঙ্গলবার নির্বাচনী সভা থেকে নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত মোদীর।
সোমবার শ্রীরামপুরের নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেই বিজেপিতে যোগ দেবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করেছিলেন, তৃণমূল নেত্রীর পায়ের তলার জমি সরছে।
মোদীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। সোমবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন ট্যুইট করে জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।
সোমবারই তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া এই চিঠিতে লেখা হয়েছে, নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী জনসমক্ষে ঘোড়া কেনাবেচা ও মিথ্যে বক্তব্য দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী সহ তাঁর দলের বিভিন্ন নেতা নির্বাচনী প্রচারে পুলওয়মার জঙ্গি হামলার ঘটনা তুলে ধরছেন, রাজনৈতিক ভাষণে তাঁরা ধর্মীয় বিভেদের বার্তা দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছেন বলে ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও, মমতার দলের ওই চিঠিতে দাবি করা হয়, ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রীর নাম করে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ প্রকাশ করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, এবার ঘোড়া কেনাবেচার বক্তব্য আর ভিত্তিহীন দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোট প্রক্রিয়ার জন্য অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কমিশনকে আবেদন করল তৃণমূল।

Comments are closed.