সুখের দেশ ভুটানে করোনা সংক্রমণ রুখতে সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন দেশের রাজা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তে টহল দিচ্ছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট দেশের পূর্ব সীমান্তে পাঁচদিন ধরে টহল দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ভুটানের মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তেনজিং লামসাং।
দেশের প্রধানমন্ত্রী লোটায় শেরিংকে সঙ্গে নিয়ে পাহারায় ছিলেন তিনি। কিন্তু প্ৰশ্ন হল করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তকেই কেন বেছে নিলেন রাজা?
অবৈধ পথে সীমান্ত পারাপারের ফলে যদি নিজের দেশে সংক্রমণ বেড়ে যায়। সেই আশঙ্কা থেকেই সীমান্তের একদিক থেকে ওপর দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
সেখানে তিনি লিখেছেন, এটা রাজার ১৪ এবং ১৫ তম সফর। বন জঙ্গল, বৃষ্টি, দুর্গম পথ পেরিয়ে দেশকে রক্ষা করার জন্য ছুটে চলেছেন রাজা।
His Majesty The King trekked 5 days in Bhutan’s eastern border areas through forests, rain, high passes & leeches to check on border posts put up to check illegal crossings to prevent COVID-19.
This is his 14th or 15th trip since pandemic started.
Accompanied by PM this time. pic.twitter.com/bh2acXkSll
— Tenzing Lamsang (@TenzingLamsang) June 14, 2021
এই ছবি দেখার পর সকলের মনে এটা হতেই পারে, দেশের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন ভুটানের রাজা। পেশায় ডাক্তার তাই করোনা পর্বে রাজা জিগমে ওয়াংচুক ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসা দিতে। এবার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজা আগলাচ্ছেন সীমান্ত। পাশাপাশি দেশের মানুষকে বোঝাচ্ছেন করোনা থেকে বাঁচার উপায়। করোনা সংক্রমণকে প্রথম থেকেই শক্ত হাতে মোকাবিলা করছে ভুটান। মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেরিং জাতির উদ্দেশে বলেন, এখনই যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ না করি তাহলে দেশ শেষ হয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে পূর্ব সীমান্তের উপর। কোনও ভাবেই যেন সীমান্ত টপকে কেউ ভুটানে ঢুকে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে নিজেই চৌকিদারের কাজ করছেন দেশের রাজা। যা দেখে অবাক নেটিজেনরা।
Comments are closed.