এয়ার ইন্ডিয়া বিলগ্নীকরণে তোড়জোড়, এই অর্থবর্ষেই ভারত পেট্রোলিয়াম সহ দুটি সরকারি সংস্থা বিক্রির পথে মোদী সরকার

ঘাড়ে বিপুল ঋণের বোঝা। তাই চলতি আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা ‘এয়ার ইন্ডিয়া’, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং কন্টেনার কর্প অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এমনই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের মধ্যে ২ থেকে ৩ টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দেশীয় বা বিদেশি বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে আনুমানিক ৬০ হাজার কোটি টাকা আসবে। সূত্রের খবর, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, লজিস্টিক্স ফার্ম কন্টেনার কর্প অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে মোদী সরকার। সেই সঙ্গে চলতি আর্থিক বছরের শেষেই প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে চলা এয়ার ইন্ডিয়াকে বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর তৎপরতা।
তবে আগে মতো একটি সরকারি সংস্থার শেয়ার অন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেচে দেওয়ার উদ্যোগ এবার আর করা হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডকে অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত আর নেওয়া হবে না। পিএমও-র তরফে স্পষ্ট বার্তা, আমরা একটি সরকারি সংস্থাকে অন্য একটি সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে একে বেসরকারিকরণ বলব না।
২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা লোকসান হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া, ভারত পেট্রোলিয়ামের মতো সংস্থাকে চলতি আর্থিক বছরেই বেসরকারি হাতে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের সফর শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন, উড়ান বা অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই আইআরসিটিসির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস। এই উদ্যোগে সাফল্য এলে আরও ১৫০ টি ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রেক্ষিতে সামনে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের উদ্যোগ।

Comments are closed.