হাথরসের ঘটনা টেনে সৌরভকে অশোক: তোমাকে রাজনীতিতে দেখতে চাই না

সৌরভ গাঙ্গুলি নাকি যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে! ৭ মার্চ ব্রিগেডে মোদীর জনসভা থেকেই তিনি নাকি যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে! কয়েকদিন ধরে এমন জল্পনা চলছে। এবার এই নিয়ে সরব হলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র এবং বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।
সৌরভ যা পেয়েছে ক্রিকেট থেকেই। রাজনীতি থেকে নয়। ৩ মার্চ নিজের ফেসবুক পেজে পোষ্টে করেএমনই জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, আমি সবসময় চেয়েছি, আজও চাই সৌরভ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হোক।

অশোক ভট্টাচার্য ফেসবুকে জানিয়েছেন, বাংলার মানুষ ওকে খেলার জগতেই দেখতে চায়। রাজনীতির জগতে নয়। আর বিজেপি দলের রাজনীতি কী, তা দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্য নাথ যোগীর কাছ থেকে। এই প্রসঙ্গে হাথরাসের গণধর্ষণের দুটি ঘটনা টেনে এনেছেন তিনি। অশোক ভট্টাচার্যের মতে, সৌরভ খুবই বিচক্ষণ ও বিবেচক ব্যাক্তিত্ব। আমার মনে হয় না রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ও এই ভুল করবে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সৌরভ। এমনকী এও শোনা যায়, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন তিনি। বুকে ব্যাথা নিয়ে দু’বার হাসপাতালে ভর্তি হন সৌরভ। বুকে ৩টি স্টেন বসাতে হয় মহারাজের। এরপর তাঁর খোঁজ নেন অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মতো নেতারা। আর এতে জল্পনা আরও তীব্র হয়। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সৌরভ ব্রিগেডে আসবে কিনা জানি না। সৌরভের তরফে এমন কিছু জানানো হয়নি।

রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে কোনও মুখ খোলেনি মহারাজও। কিছুদিন আগে এবিপি শিখর সম্মেলনে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, কারোওর অসুস্থতার খবর নেওয়া মানেই তাঁকে দলে আসার প্রস্তাব দেওয়া নয়। এরপর নতুন করে জল্পনা শুরু হয়, ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই নাকি তিনি যোগ দেবেন বিজেপিতে।

এর আগেও সৌরভকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে দেখতে এসে শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য জানান, সৌরভের উপর চাপ তো দেওয়াই হয়েছিল। সৌরভকে ব্যবহার করে কিছু মানুষ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

Comments are closed.