হাইকোর্টে মিটল অচলাবস্থা, বয়কটের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ফিরলেন সরকারি আইনজীবীরা

ভুল বোঝাবুঝির অবসান। কলকাতা হাইকোর্টের সরকারি প্যানেলের আইনজীবীরা বয়কট প্রত্যাহার করে নিলেন। বুধবার থেকে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির থাকবেন সরকারি আইনজীবীরা। মঙ্গলবার এবিষয়ে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হয় সরকারি আইনজীবীদের। সেখানেই বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। সরকারি আইনজীবীদের তরফে জানানো হয়েছে, যা ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে বিচারপতির এজলাসে যাবেন সরকারি আইনজীবীরা।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করেন সরকারি প্যানেলের আইনজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় তাঁর এজলাসে একাধিক মামলায় রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন।

গত ১৯ শে জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। পুরপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা সঙ্গে নেই। তবুও চেয়ার আঁকড়ে বসে আছেন? এতো নির্লজ্জ কেন আপনি?’ এছাড়া বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোটের দিন বিজেপি কাউন্সিলারদের আটকে রাখার অভিযোগ প্রসঙ্গেও প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, ফের আস্থা ভোট হবে।
এরপর, বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে তাঁর দলেরই কাউন্সিলারদের অনাস্থা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বাদানুবাদ হয়। সরকারি আইনজীবীদের অভিযোগ, অনভিপ্রেতভাবে যে কোনও মামলায় বনগাঁর প্রসঙ্গ তুলে রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকেও চিঠি দিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবীরা।

শেষপর্যন্ত বয়কটের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন সরকারি আইনজীবীরা। এর ফলে আদালতে অচলাবস্থা কাটল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.