বিদায় নিয়েছে ২০২১, পুরো সাল জুড়ে খবরের শিরোনামে ছিলেন যাঁরা

গোটা বছর ধরে এমন কিছু মানুষ ছিলেন যাঁরা বেশিরভাগ সময় জুড়ে ছিলেন খবরের শিরোনামে। যাঁদের ঘিরে সরগরম ছিল দেশ। দেখে নেওয়া যাক সেইসব ব্যক্তিত্বদের।

২০২১ এর প্রথম ব্যক্তিত্ব হলেন বাংলার মমতা ব্যানার্জি। ২০১৬ সালে ২১১ আসনে জয়ের পর ২০২১ সালে ২১৩টি আসন জিতে হ্যাটট্রিক জয় আসে মমতা ব্যানার্জির। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের আনাগোনা, দলীয় নেতাদের দনবদল সব মিলিয়ে সবাই তাকিয়ে ছিল বাংলার দিকে। খেলা হবে স্লোগান ও পালটা স্লোগান খেলা শেষ নিয়ে সরগরম ছিল বাংলার রাজনীতি। অব শেষে শেষ হাসি হাসেন মমতা ব্যানার্জি।

মমতা ব্যানার্জির নামের সঙ্গে উঠে আসে আরেকটি নাম। ২১ এ খবরের শিরোনামে ছিলেন তিনিও। তিনি হলেন প্রশান্ত কিশোর। রাজনৈতিক নেতাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে খবরের শিরোনামে বারবার তাঁর নাম উথে আসে। তাঁর রিপোর্ট কার্ডে আছে ২০১৪ বিজেপির লোকসভা নির্বাচনে জয়, ২০১৫ তে জেডিইউ-র বিহারে জয়, ২০১৭ পাঞ্জাবে কংগ্রেসের জয়। আপের ২০২০ সালে দিল্লি জয় ও ২০২১ সালে তৃণমূলের জয়। ২০২১ সালে মমতা ব্যানার্জির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও দেখা যায় পিকেকে।

২১-এর শিরোনামে ছিলেন আরও একজন। তিনি হলেন বাংলার দাদা। দাদ বলতে বিশ্ব একজনকেই বোঝে। তিনি সৌরভ গাঙ্গুলি। ২১ এর প্রথম দিকে জানুয়ারি মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সৌরভ। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সৌরভের বুকে স্টেন্ট বসে। সৌরভের হৃদধমনীতে ৩টি ব্লক ছিল। তার মধ্যে স্টেন্ট বসিয়ে ১টি ব্লক খোলা হয়েছিল। কয়েকদিন পর ফের বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর বুকে বাকি ২ টি স্টেন্ট বসানো হয়। শোনা যায় ২১ সালে বিজেপির সৌরভকে মুখ করতে চেয়েছিল। এই বিষয়ে তৎপর ছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু ভোটের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সৌরভ। তাই ২১ জুড়ে ছিল বাংলার দাদার নাম।

২০২১ সালের সোনার ছেলে ছিলেন নীরজ চোপড়া। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকসে অভিনব বিন্দ্রার পর ২১ এ টোকিও অলিম্পিকসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা পান নীরজ চোপড়া। কৃষক পরিবারের এই ছেলে ১২০ কোটির মুখে গর্বের হাসি ফোটান।

২০২১ সালের জুটির নাম উঠে এসেছিল। তাঁরা হলেন যশ-নুসরত ও ভিকি-ক্যাটরিনা। নিজেদের সম্পর্ক সকলের থেকে লুকিয়ে রাখার পর ২১ সালে তা সর্বসমক্ষে আসে। সন্তান জন্মের পর সেই সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। অন্যদিকে নিজেদের সম্পর্ক গোপনে রেখেও বছর শেষে বিয়ে করে সিনেপ্রেমীদের চমক দেয় ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ। তাই ২১ সাল জুড়ে খবরের শিরোনামে ছিল এই দুই জুটি।

২১ ফের এক ভারতীয় মাথায় ওঠে মিস ইউনিভার্সের খেতাব। ২০০০ সালে পাঞ্জাবের সুন্দরী তথা অভিনেত্রী লারা দত্তের পর ফের ২০২১ সালে ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর খেতাব উঠল পাঞ্জাবী সুন্দরীর মাথায়। হারনাজ সান্ধু হলেন তৃতীয় ভারতীয় কন্যা যিনি মিস ইউনিভার্স হন। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস, নিজের প্রতি ভরসা থাকলে সব সম্ভব। ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে ২১ বছরের হারনাজের এই কথা মাত করে দেয় বিচারকদের। তাই আত্মবিশ্বাসকে মূলমন্ত্র করে এগিয়ে চলা হারনাজ বছর শেষে দেশবাসীর কাছে একটা উপহার।

Comments are closed.