ডানলপ ময়দানে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে মোদী-মমতার জোড়া সভা

২২ ফেব্রুয়ারি ডানলপ ময়দানে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। ৪৮ ঘন্টা পর অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি একই মাঠে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। সেখানে বক্তৃতা করবেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার সকালে হুগলির সাহাগঞ্জের মাঠ পরিদর্শন করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। একইভাবে গেরুয়া শিবিরের তরফেও মোদীর সভার মাঠ ঘুরে দেখা হয়।

তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ছাড়াও কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সভাস্থল পরিদর্শন করেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ যাদব বলেন, বাংলার মানুষ জানেন প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য কোনও উন্নয়ন করেননি। বাংলার মানুষের কথা একমাত্র চিন্তা করেন মমতা ব্যানার্জি।

এদিকে রাজ্য সফরে আসছেন অমিত শাহ। নামখানায় পরিবর্তন যাত্রার সূচনার পাশাপাশি জনসভা করবেন তিনি। এর পাল্টা সভা করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। একইদিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে জনসভা করবেন মমতা-অভিষেক। তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলার ২৬টি বিধানসভার কর্মীদের সভায় যোগ দিতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন- Didir Doot App: ১০ দিনে ২ লক্ষ ডাউনলোড, বিপুল সাড়ায় খুশি তৃণমূল]

হুগলিতে লোকসভা ভোটে হেরে বিধানসভায় নিজেদের জায়গা ধরে রাখতেই তৃণমূলের মরিয়া প্রয়াস বলে কটাক্ষ করেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। তিনি দাবি করেছেন, বিধানসভা ভোটে এই জেলায় তৃণমূল একটিও আসন পাবে না। লোকসভা নির্বাচনে হুগলির তিনটি আসনের মধ্যে হুগলি কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। বিজেপির টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন লকেট। অন্যদিকে শ্রীরামপুর এবং আরামবাগ কেন্দ্রে জিতেছিল তৃণমূল।

উল্লেখ্য, হুগলিতে ১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ টি কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তরপাড়ায় তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। সেই কারণে হুগলিতে মোদীর জনসভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি। মোদীর সভাকে কেন্দ্র করে বুধবারই মাঠ পরিদর্শন করেন চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসি তথাগত বসু এবং এসিপি পলাশ ঢালি।

২২ তারিখ রাজ্য সফরে এসে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন মোদী। মেট্রোর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। কিন্তু তিনি উপস্থিত থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 

Comments are closed.