কীভাবে মারা গেলেন মইদুল? খুঁজবে SIT 

সাত সদস্যের টিম গঠন লালবাজারের

 DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর তদন্তের জন্য সিট গঠন করল রাজ্য সরকার। লালবাজার সূত্রে খবর, সাতজন পুলিশ অফিসারের একটি স্পেশাল টিম তদন্ত করবে। ১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছিলেন বাম কর্মী মইদুল। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। 

মইদুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বাম ছাত্র যুব সংগঠন গুলি দফায় দফায় শহরের একধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায়। মইদুলের মৃত্যুর জন্য তৃণমূলকেই কাঠ গড়ায় তোলে বাম নেতৃত্ব। মৌলালির কাছে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বেশ কয়েকজন বাম কর্মীর বিরুদ্ধে। ছিঁড়ে যায় পুলিশের উর্দিও। বেশ কয়েকজন পুলিশকে আত্মরক্ষার জন্য রেঁস্তরায় ঢুকে পড়তেও দেখা যায়। পুলিশেকে মারধরের অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাম কর্মীর নামে  অভিযোগ দায়ের করেছে লালবাজার। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য-এর বিরুদ্ধেও পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। 

[আরও পড়ুন- ডানলপ ময়দানে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে মোদী-মমতার জোড়া সভা]

লালবাজার সূত্রে খবর, ১১ ফেব্র্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ভিডিও ফুটেজে কোথাও দেখা যায় নি পুলিশ মাইদুলের উপর লাঠি চার্জ করছে। এই গোটা ঘটনার তদন্তের পরেই মইদুলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উঠে আসবে। মইদুলের মৃত্যুর পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মইদুলের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।  

বুধবারও বাম কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে এসএফআই সদস্যরা। এদিন যাদবপুরে  বাম ছাত্রদের থানায় ঢুকতে বাধা দিলে গেট টপকে ঢোকার চেষ্টা করে তাঁরা। পরে যাদবপুর মোড় অবরোধ করেন বাম ছাত্র-যুবরা।               

      

     

  

      

Comments are closed.