কোথায় মন্দা? প্রতিবার শ্রাবণ-ভাদ্রে এরকম হয়, অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে আজব তত্ত্ব বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর

দেশের অর্থনীতির গতি রুদ্ধ। শিল্প জগতে মন্দার পরিবেশ। ছাঁটাই হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। মানুষের পকেটে টান, হু-হু করে কমছে চাহিদা। কিন্তু বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা তা মানতে নারাজ। কেউ বলছেন, অর্থনীতি ঠিক আছে, আবার কেউ আনছেন আজব তত্ত্ব। ঠিক যেমন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী। তিনি বিহারের অর্থমন্ত্রীও বটে। সুশীল মোদী বলছেন, প্রতিবারই শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে এমনটা হয়ে থাকে। আসলে ভোটে হেরে বিরোধীরা মন্দার কথা বলে মানুষকে ভয় পাইয়ে দিতে চাইছে।
বিহারের অর্থমন্ত্রীর কথায়, প্রতি বছর শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে অর্থনৈতিক মন্দা আসে। তা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বছর দেশের অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে শোরগোল শুরু করেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আর তা অন্য কোনও কারণে নয়, ভোটে হেরে গিয়েই বিরোধীরা এমন আচরণ করছে বলে মন্তব্য সুশীল মোদীর।
এপ্রিল-জুন, এই ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার এসে দাঁড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশে, যা গত ৭২ মাসে সর্বনিম্ন। অটোমোবাইল সংস্থা থেকে বিস্কুট তৈরির সংস্থা, মন্দার থাবা থেকে বাঁচতে পারছে না কোনও শিল্প সংস্থাই। কাজ হারাচ্ছেন বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় নিযুক্ত হাজার-হাজার মানুষ। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি মোদী সরকারকে দায়ী করছে। বিরোধীদের অভিযোগ, উৎপাদন থেকে কৃষিক্ষেত্র সর্বর্ত্রই মোদী সরকারের ব্যর্থতাই প্রকট হয়ে উঠেছে। মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থনীতিবিদ ডঃ মনমোহন সিংহ। এই পরিস্থিতির সার্বিক দায় চাপিয়েছেন মোদী সরকারের উপর। কিন্তু সব অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী।
রবিবার ট্যুইটারে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বিহারে মন্দার প্রভাব পড়েনি। বিভিন্ন অটোমোবাইল সংস্থা যখন লোকসানের মুখে বাধ্য হয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের রাস্তা নিয়েছে, তখন সুশীলকুমার মোদীর দাবি, বিহারে গাড়ি শিল্পে মন্দার আঁচই লাগেনি। বিহারে গাড়ি বিক্রির হার একেবারেই কমেনি বলে জানাচ্ছেন বিহার বিজেপির সবচেয়ে বড় নেতা। সুশীলকুমার মোদীর কথায়, সাধারণ মানুষের চিন্তার কোনও কারণ নেই। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক শ্লথতা অচিরেই কাটিয়ে উঠবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।

Comments are closed.