UPSC-তে নজরকাড়া সাফল্য বাংলার, প্রথম দু’শোয় রাজ্য পরিচালিত ‘সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার’-এর দুই ছাত্র-ছাত্রী  

UPSC-তে নজরকাড়া সাফল্য রাজ্যের। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম ২০০ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২ জন জায়গা করে নিয়েছেন। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়, দু’জনেই রাজ্য সরকারের পরিচালিত সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। 

প্রথম ২০০ জনের মধ্যে ৮৭ নম্বর স্থানে রয়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা রিকি আগরওয়াল, ১৫৯ নম্বর স্থানে ময়ূরী মুখার্জি। দু’জনেই রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি (CSSC) সেন্টার থেকে পড়াশুনা করেছেন। 

২০২০ UPSC-তে প্রথম হয়েছেন  বিহারের বাসিন্দা শুভম কুমার, দ্বিতীয় হয়েছেন ভোপালের জাগৃতি অবস্থি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অঙ্কিত জৈন। 

খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী রিকি আগরওয়াল ২০১৮ সালে CSSC-তে ভর্তি হন। CSSC-র ধারাবাহিক সহোযোগিতা আমায় পরীক্ষায় সফল হতে সাহায্য করেছে, জানিয়েছেন রিকি।  

বেলঘড়িয়া মহাকালী গার্লস হাই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন ময়ূরী। পরে বোটানি নিয়ে প্রেসিডেন্সি থেকে স্নাতক। বোটানি নিয়ে দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম হন ময়ূরী। ২০২১ আগস্টে সিএসআইআর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট কেমিক্যাল বায়োলজি যাদবপুরে  নিজের পিএইচডি থিসিস জমা দিয়েছেন তিনি।  দু’বারের চেষ্টার পরে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। 

ময়ূরী জানান, CSSC-তে ক্লাসের পাশাপাশি মেইনস এবং ইন্টারভিউ গাইডেন্স প্রোগাম আমায় বিশেষ সাহায্য করেছে। রাজ্যের অভিজ্ঞ আইএএস অফিসাররা আমাদের ক্লাস নিতেন, পরীক্ষায় খাতা দেখতেন। নানান সময় তাঁদের উপদেশ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। ছুটির দিনে ক্লাস হওয়ায় নিজের গবেষণার কাজও চালিয়ে যেতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, রাজ্যে সিভিল সার্ভিস নিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক এমন ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে তৈরি হয়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার। প্রাইভেট যে কোনও ইনস্টিটিউটের থেকে অনেক কম, নামমাত্র খরচে CSSC-তে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন ছাত্র-ছাত্রীরা। রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্ত বর্তমানে এই স্টাডি সেন্টারের চেয়ারম্যান।  ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই সেন্টার থেকে ১৫ জন ইউপিএসসি উত্তীর্ন হয়েছেন। 

    

Comments are closed.