বরদান মার্কেটের বেসমেন্টের লকারে আয়কর হানা, উদ্ধার ১৩ কোটি টাকার গয়না ও নগদ ৫ কোটি টাকা

নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, লাফিয়ে বাড়ছে হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি এবং কালোটাকা উদ্ধারের ঘটনা। বৃহস্পতিবার কলকাতার বরদান মার্কেটের বেসমেন্টে একটি ‘প্রাইভেট ভল্ট’ থেকে নগদ ৫ কোটি টাকা ও প্রায় ১৩ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার করল আয়কর দফতর। ‘প্রাইভেট ভল্ট’-এর ৬৪৯ টি লকারের মধ্যে ২০০ টি লকারের মালিকের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সেই ২০০টি লকার ভেঙে নগদ ৫ কোটি টাকা ও প্রায় ১৩ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার করেছেন আয়কর দফতরের অফিসারেরা। শহরে এমন আরও বেশকিছু প্রাইভেট ভল্ট আছে বলে মনে করছেন আয়কর আধিকারিকরা। এবার সেগুলির হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, ব্রেবোর্ন রোডের গনেশ মার্কেটের সামনে প্রমোদ কুমার শর্মা নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওড়িষার তালচেরের বাসিন্দা প্রমোদ কুমার শর্মাকে আটক করছে পুলিশ।
বুধবার শেক্সপিয়র সরণী থানা এলাকা থেকেও ৯ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর।
লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে ১০ই মার্চ। তার দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। আর ১৭ দিনের মধ্যে ৩০ কোটি টাকারও বেশি হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর। তারমধ্যে নগদেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বাকিটা সোনার গয়না এবং সোনার বাট।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা ভোট প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৯ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। আর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উদ্ধার হয়েছিল ৭.৮ কোটি টাকা। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে এখনও বাকি এক মাসেরও বেশি সময়। এর মধ্যেই গত দু’বারের কালোটাকা উদ্ধারের রেকর্ড ছাপিয়ে যাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে নির্বাচন কমিশন।
কালো টাকার মতো বেআইনি অস্ত্র ও মদ উদ্ধারেও অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, বুধবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪৮ হাজার ৭৪ লিটার বেআইনি মদ উদ্ধার হয়েছে। দেশি মদ পাওয়া গিয়েছে ২২ হাজার ৫৮৬ লিটার। এই সব বিষয়ে নজর দিতে রাজ্যে ৪৪ জন এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

Comments are closed.