শেষ মুহূর্তে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, চাঁদের মাটির ২.১ কিলোমিটার উপর থেকে হারিয়ে গেল বিক্রম?

একেবারে দিনক্ষণ মেপেই চাঁদে নামছিল বিক্রম। কিন্তু চাঁদের খুব কাছে গিয়েও বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ইসরোর। চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকতেই চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে হারিয়ে গেল ল্যান্ডার। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ২-এর যাত্রা থমকে গিয়েছিল শেষ মুহূর্তে। এর এক সপ্তাহ পরে গত ২২ শে জুলাই বাহুবলী রকেটে চেপে চাঁদে রওনা দিয়েছিল চন্দ্রযান ২। তখনই ঠিক হয়েছিল যাত্রা পিছিয়ে গেলেও আগের নির্ধারিত দিনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে চন্দ্রযান ২-কে। সব ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার রাত ১ টা ৫৩ মিনিট নাগাদ চাঁদে পৌঁছে ইতিহাস গড়তে পারত ভারতের বিক্রম। কিন্তু দীর্ঘ ৪৭ দিনের যাত্রার একেবারে শেষমুহূর্তে লক্ষ্যের কাছে পৌঁছেও ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগ হারাল ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন।
শুক্রবার থেকে চন্দ্রযান ২ নিয়ে একের পর এক ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশকে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে আবেদন করেছেন। কখনও জানিয়েছেন, তাঁর বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মধ্যরাত থেকে আর খবর পাওয়া যায়নি বিক্রমের। সম্ভাব্য ব্যর্থতায় আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বেঙ্গালুরুতে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও ইসরোর কর্মকাণ্ডে বিজ্ঞানীদের কুর্নিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আরও প্রবল হল। আরও দৃঢ় হল সংকল্প। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু নেই।

Comments are closed.