উর্জিত প্যাটেলের পর এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের ইস্তফা! কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত? জল্পনা

কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের জেরে কয়েক মাস আগেই আরবিআইয়ের গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন উর্জিত প্যাটেল। এবার তাঁর পথ অনুসরণ করে মেয়াদ শেষ হওয়ার মাস ছয়েক আগেই আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে সরলেন বিরল আচার্য।
যদিও উর্জিত প্যাটেলের মতো, তিনিও নিজের পদত্যাগের জন্য ‘ব্যক্তিগত কারণ’কেই সামনে এনেছেন। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত এবং সংস্থার স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই বিরলের সঙ্গে কেন্দ্রের চাপান-উতোর চলছিল। অবশেষে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি সোমবার নিজেই সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলসা করেছেন বিরল আচার্য।
২০১৭ সালের ২৩ শে জানুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি গভর্নরের পদে যোগ দেন বিরল আচার্য। কিন্তু আরবিআইয়ের আপৎকালীন অর্থের (সারপ্লাস) একাংশ যখন কেন্দ্র দাবি করেছিল, সে সময় আরবিআইয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে প্রথম সোচ্চার হয়েছিলেন বিরল আচার্য। সেই সময়ই ঘুরিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই আপৎকালীন ফান্ড থেকে কেন্দ্রের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জেরে মেয়াদ শেষের ৯ মাস আগেই, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আরবিআইয়ের গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আরও এক শীর্ষ কর্তা পদত্যাগ ঘোষণার পরে বিরোধীদের কটাক্ষের মধ্যে পড়েছে মোদী সরকার। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার শীর্ষ পদ থেকে বেশ কয়েকজন কর্তার ইস্তফা দেওয়ায়, কেন্দ্রের অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে বিরল আচার্য সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের পর এন এস বিশ্বনাথন, বি পি কানুনগো ও এম কে জৈন, এই তিনজন ডেপুটি গভর্নর থাকলেন আরবিআইয়ের। জানা গিয়েছে, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেবেন বিরল আচার্য।

Comments are closed.