চিনা মোবাইল ভিভোর সঙ্গে আইপিএলের চুক্তি বাতিল সম্ভব নয়, জানাল সৌরভের বিসিসিআই

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতাদের চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখা যেতেই পারে। কিন্তু তার অর্থ এটা নয়, যে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর চিনের মোবাইল সংস্থা ভিভোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। দেশজুড়ে চলা বয়কট চায়নার মধ্যেই জানিয়ে দিল সৌরভ গাঙ্গুলির বিসিসিআই।
শুক্রবার বিসিসিআইয়ের এক পদাধিকারীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, চাইনিজ সংস্থা ভিভোর সঙ্গে আইপিএল চুক্তি বাতিল বা পর্যালোচনা করা হবে কিনা। সেখানেই বিসিসিআইয়ের কোষাধক্ষ অরুণ ধুমল বলেন, চিনের সংস্থা থেকে টাকা আসছে ভারতের টুর্নামেন্টে। ফলে লাভবান হচ্ছে ভারতই। তাই বিজ্ঞাপনী চুক্তি পর্যালোচনা করা যেতে পারে, তবে ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের প্রশ্নই নেই।

আইপিএলের জন্য চিনা সংস্থা ভিভো বছরে ৪৪০ কোটি টাকা বিসিসিআইকে দেয়। আপাতত ২০২২ সাল অবধি ভিভোর সঙ্গে সৌরভ-জয় শাহের বিসিসিআইয়ের চুক্তি আছে।
কীভাবে ভিভো-বিসিসিআই চুক্তিতে দেশের লাভ হচ্ছে? ধুমল বলছেন, ভিভো চিন থেকে ফোন তৈরি করে ভারতের বাজারে তা বিক্রি করছে। ভারতীয়রা সেই ফোন কিনছেন। তাতে ভারতের টাকা যাচ্ছে চিনে। আবার সেই বিক্রি আরও বৃদ্ধি করতে ভিভো আমাদের টাকা দিচ্ছে। ফলে চিনের টাকা আবার চলে আসছে ভারতে। আমরা আবার আমাদের আয়ের ৪২ শতাংশ কর হিসেবে ভারত সরকারের হাতে তুলে দিচ্ছি। ফলে এতে আখেরে ভারতের অর্থনীতিই লাভবান হচ্ছে।
সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে চিনের সেনার আগ্রাসনে মৃত্যু হয়েছে একাধিক ভারতীয় সেনা কর্মীর। তারপর থেকে দেশের মধ্যে চলছে বয়কট চায়না কর্মসূচি। যদিও সরকারি তরফে এখনও এমন কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে চিনে তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য বয়কট করছেন, ফেলে দিচ্ছেন বা পুড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আলপিন টু এলিফ্যান্ট, প্রায় সবেতেই চিনের একচ্ছত্র আধিপত্য। তাই রাতারাতি কিছুই করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ জন্য প্রয়োজন সরকারি নির্দেশিকা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। আপাতত যার কোনওটাই এখনও দিনের আলো দেখেনি । এই প্রেক্ষিতেই বিসিসিআইয়ের ট্রেজারার অরুণ ধুমল বলছেন, গোটা দেশে এখন যা চলছে তা আবেগের বহিঃপ্রকাশ। এর মধ্যে যুক্তি কিছুই নেই।

Comments are closed.